সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আইসিসি শাস্তি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিশ্লেষণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য মাশরাফি বিন মর্তুজা আর সাব্বির রহমানের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। অথচ ঠিক একই ঘটনায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকে শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু তিরস্কার করা হয়েছে!
আইসিসির এমন শাস্তিকে বৈষম্য বলছেন বিশ্লেষকরা। মাঠ থেকে বেরিয়েও নিজেদের শোধরান নি ইংলিশ ক্রিকেটাররা। টুইটারেও চলছে তাদের সমালোচনা। অলরাউন্ডার বেন স্টোকস সেই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তামিম ইকবালকে ধুয়ে দিয়েছেন।
স্টোকস লিখেছেন, ‘জয়ের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন। এক কথায় আমাদেরকে ওরা উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু, কেউ হাত মেলানোর সময় আমার সতীর্থকে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা দিলে সেটা আমি চুপচাপ মেনে নেবো না।’
যদিও টুইটে কারো নাম নেননি স্টোকস। তবে তিনি যে তামিমকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন, তা বলে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ম্যাচ শেষে জনি বেয়ারস্টোর কাঁধে ধাক্কা লাগে তামিমের। তখনই তামিম-স্টোকসের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে এগিয়ে আসেন সাকিব আল হাসান-মঈন আলিরা।
রোববার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জস বাটলার ২৮তম ওভারের ঘটনা। তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ আবেদনে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত সাড়া দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে আউট বাটলার। তাইতো সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। উল্লাস শুরু করে দেন মাশরাফি-সাব্বিররা। এটা পছন্দ হয়নি ইংল্যান্ড অধিনায়কের। এ সময় তার সঙ্গে উত্তেজিতভাবে বাক্য বিনিময় হয় বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারের।
এরপরই প্রেক্ষিতে জরিমানা হয় মাশরাফি-সাব্বিরের। অথচ স্টোকস, বাটলারের কিছুই হল না।
Discussion about this post