আইপিএলে তেমন একটা ভাল না খেলতে পারলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ঠিকই দাপটে এগিয়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এইতো বুধবার ব্যাট-বল দুটোতেই রীতিমতো ঝড় তুললেন এই অলরাউন্ডার। তাতেই তার দল আবাহনী লিমিটেড উড়িয়ে দিল চির প্রতিদ্বন্দী মোহামেডানকে। ২৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল ধানমন্ডির এই ক্লাব। লিস্ট এ ম্যাচে বাংলাদেশের কোনো দলের রানের ব্যবধানে এটিই সবচেয়ে বড় জয়।
আবাহনী প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিকেএসপিতে তুলে ৩৭১ রান। আকাশ সমান সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১১১ রানে শেষ মুশফিকের মোহামেডান। এই ম্যাচ দিয়েই নেতৃত্ব থেকে সরে দাড়ালেন মুশফিকুর রহীম।
ম্যাচে আবাহনীকে এমন রান করতে সাহায্য করেন লিটন দাস (১৩৯) ও ভারতীয় রিক্রুট দিনেশ কার্তিক সেঞ্চুরি (১০৯)। তারপরও আলোচনায় সাকিব।
কারনটাও সংগত, মাত্র ২৪ ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলার পথে ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। এরপর ৬.৩ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই লাল-সবুজের এই অলরাউন্ডার। ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আবাহনী: ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৭১/৫ (তামিম ২২, লিটন ১৩৯, শান্ত ৭, কার্তিক ১০৯, সাকিব ৫৭, মোসাদ্দেক ১৯*, আবুল হাসান ১২*; হাবিবুর ০/৩৩, ইমন ০/৩২, পেরেরা ১/৭৫, নাঈম ১/৪৫, এনামুল জুনিয়র ১/৮৪, ফয়সাল ০/৪৬, আরিফুল ২/৫৫)।
মোহমেডান: ২৪.৩ ওভারে ১১১ (সৈকত ৫, ইজাজ ৩, নাঈম ৩২, মুশফিক ২৬, পেরেরা ৫, আরিফুল ১৭, ফয়সাল ৩, মিলন ২, হাবিবুর ৪, ইমন ১১, এনামুল জুনিয়র ০*; তাসকিন ১/২২, সাকিব ৫/১৮, সাকলাইন ২/২৭, আবুল হাসান ০/১১, শান্ত ০/৭, মোসাদ্দেক ২/১২, অমিত ০/১৩)।
ফল: আবাহনী ২৬০রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: লিটন দাস।
Discussion about this post