রীতিমতো বিস্ময়কর ব্যাপার। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে একের পর এক নাটক চলছেই। আগের দিনই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এমন কী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন তিনি। টেলিভিশনের ফুটেজে আছে সেই দৃশ্য আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এর কোনো উল্লেখ নেই ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদনে। বিস্ময়কর হলেও সত্য বিকেএসপিতে গত রোববার আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচ স্থগিত হওয়ার একমাত্র কারণ আম্পায়ারদের অসুস্থতা!
ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) সমন্বয়ক আমিন খান এই খবরই দিলেন।
জানা গেল আবাহনী লিমিটেড বনাম প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি কবে মাঠে গড়াবে তার সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রোববার রাতেই ম্যাচ রেফারি মন্টু দত্ত যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাতে এই কথা বলা হয়েছে বলে জানান ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) সমন্বয়ক আমিন খান। তবে আবাহনী অধিনায়ক তামিম ইকবাল যে আম্পায়ারদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন তার উল্লেখ সেই রিপোর্টে নেই।
রোববার বিকেএসপিতে আবাহনী লিমিটেড ও প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি পরিচালনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে শেষ পর্যন্ত দিনের খেলার ইতি টানেন দায়িত্বরত আম্পায়াররা। যাতে কারণ হিসেবে ম্যাচ রেফারি মন্টু দত্ত আম্পায়ারদের ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়ার কথা জানান। অথচ তামিম ইকবাল ও আবাহনী ক্রিকেটারদের অখেলোয়াড়ি আচরণের কারণেই প্রথমে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন আম্পায়াররা। এরপর যেটি খেলা স্থগিত হওয়া পর্যন্ত গড়ায়।
রোববার সাভার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ১৪ বল আগে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় আবাহনী। জবাব দিতে নেমে দোলেশ্বরের ইনিংসের ১৭ ওভারের পর তামিমের আচরণে ক্ষুব্ধ আম্পায়াররা ম্যাচ বন্ধ রাখেন। বেলা ৩টা ১৮ মিনিটে মাঠ ছাড়েন তারা। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ স্থগিতের ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। এর আগে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তুলেছে দোলেশ্বর।
ঘটনার সুত্রপাত- আম্পায়ারদের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে। দোলেশ্বরের ইনিংসের ১৫.৪ ওভারে ব্যাট করছিলেন রকিবুল হাসান। এসময় সাকলাইন সজীবের বলে আবাহনী ফিল্ডারদের স্ট্যাম্পিংয়ের একটি আবেদনে সাড়া না দিলে উত্তপ্ত হয়ে যায় মাঠের পরিস্থিতি। সিদ্ধান্তটি তামিমও মেনে নিতে পারেননি। মাঠ আম্পায়ার গাজী সোহেল ও তানভীর আহমেদকে এসময় প্রকাশ্যেই অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দেন সতীর্থ আর দলটির সমর্থকরাও। যা কীনা লিস্ট এ ম্যাচে সত্যিই বিরল।
উপায় না দেখে ম্যাচ রেফারি মন্টু দত্তের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন দুই মাঠ আম্পায়ার। ম্যাচ রেফারি মন্টু দত্ত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আম্পায়াররা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই খেলা চালানো সম্ভব না।
Discussion about this post