রিচি বেনোর পর তার মতো তুমুল জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার কমই দেখা মিলেছে। যেখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ, সেখানেই ছুটে বেরিয়েছেন তিনি। এসেছিলেন এই বাংলাদেশেও। রীতিমতো ক্যারিবিয় ক্রিকেটের কন্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন টনি কোজিয়ার।
কিংবদন্তি ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠস্বর চিরতরে থেমে গেল। বুধবার সবাইকে কাঁদিয়ে ৭৫ বছর বয়সে চলে গেলেন জীবনের অন্য এক ভূবনে। যেখান থেকে কেউ আর ফেরেনা। বিদায় ক্যারিবিয়ান সাংবাদিক, বিশ্লেষক টনি কোজিয়ার!
তার জন্ম ১৯৪০ সালে ব্রিজটাউনে। ক্রিকেট ভালবেসেই বেড়ে উঠেছেন। কানাডার চার্লটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় শিক্ষা শেষে ১৯৫৮ সালে রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন কোজিয়ার। এরপর বিবিসি, চ্যানেল নাইন ও স্কাইয়ের হয়ে ধারাভাষ্য দিয়ে উঠে এসেছিলেন অন্য এক উচ্চতায়। সবার সম্মানের ব্যাক্তিত্ব তিনি।
বার্বাডোজের দুটি ক্লাবের হয়ে টুকটাক ক্রিকেট খেলেছেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি তাকে। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বার্ষিকী সম্পাদনা করেন কোজিয়ার। ১৯৭৮ সালে তিনি ‘দ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ইয়ার্স অব ক্রিকেট’ বই লেখে ব্যাপক প্রশংসিত হন। ক্রিকেটের প্রতি অসামান্য অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১১ সালে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সম্মানজনক আজীবন সদস্য করা হয় তাকে।
২০০৩ সালে উইজডেন জানায়- দীর্ঘ ৪০ বছরের ধারাভাষ্য জীবনে তিনি ২৬৬টি টেস্ট ম্যাচ দেখেছেন তিনি। বলা হয় কোজিয়ার সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ মাঠে বসে দেখেছেন।
এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে ক্রিকেট বিশ্বে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এক টুইট বার্তায় লিখেছে, ‘কোজিয়ার ছিলেন ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কণ্ঠ। ক্রিকেট বিশ্বের জন্য এটা বড় একটি ক্ষতি।’
Discussion about this post