রিপোর্ট দেবে আকসু। কাজেই দায় তার ওপর বর্তানোর কোনোই সুযোগ নেই। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এর আগেও যে দু’বার তারিখ দিয়েছেন, একবারও সেই সময়মতো রিপোর্ট জমা দেয়নি আকসু। সব শেষে তিনি বলেছেন, আগস্টে রিপোর্ট দেবে আইসিসি দুর্নীতি দমন ইউনিট আকসু। সেটাই নাকি বহাল আছে।
বিসিবি সভাপতির কথা শুনে মনে হচ্ছে ঈদের ছুটির পরপরই মিলবে বহুল প্রত্যাশিত আকসু রিপোর্ট। সম্ভাব্য দিনক্ষণও জানা গেছে। সেটা আর গুঞ্জন নয়, খোদ নাজমুল হাসান পাপনই জানিয়েছেন তা। গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন-ঈদের পরপরই আকসু প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।
তার কথায় বোঝা গেছে, আকসুর সঙ্গে এর মধ্যেই যোগাযোগ হয়েছে। কথাও বলেছেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে, ‘আমাকে যেটা বলেছে তাতে রিপোর্ট ৫ আগস্টের মধ্যে শেষ হবে। তারা হয়তো ৭-৮ আগস্টের মধ্যে আসতে চাচ্ছিল। আসতে পারতও। কিন্তু ঈদের কথা ভেবে আমিই ক’দিন পর আসতে বলেছি। যদি ৯ বা ১০ আগস্ট ঈদ হয়, তাহলে ১২ আগস্ট আসতে। তারা ১১ বা ১২ আগস্ট আসবে। মানে আমি চাইছি ঈদের পরপরই বিষয়টা হোক।’
আশরাফুল নিজ মুখে স্বীকার করেছেন, ‘আমি অন্যায় করেছি, মানে পাতানো খেলায় অংশ নিয়েছি’-কাজেই মোহাম্মদ আশরাফুলের নাম অবশ্যই রিপোর্টে থাকবে। এর বাইরে আর কোনো তারকা ক্রিকেটারের আকসু তদন্ত ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায়। তবে অবস্থাদৃষ্টে পরিষ্কার, আশরাফুলের মতো আর কোনো নামি তারকার নাম থাকছে না রিপোর্টে। এটা নিশ্চিত রিপোর্টে আরও ক’জন ক্রিকেটারের নাম থাকবে।
কাল তেমন ইঙ্গিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কণ্ঠে। এ সম্পর্কে তার কথা, ‘আমি বলেছি আশরাফুলের মতো নামকরা কোনো খেলোয়াড়ের নাম আমাদের জানা নেই। মানে আশরাফুলের চেয়ে বড় কেউ নেই। তবে থাকতে পারে। আরও দুয়েকটা নাম যেগুলো আগেই পত্রিকায় এসেছে। আপনাদের পত্রিকায় যেরকম সব নাম এসেছে তার বাইরে কোনো নাম আমিও শুনিনি এ পর্যন্ত। আমার শোনাও কিন্তু পত্রিকা থেকে। ওরা মানে আকসু কিন্তু কোনো নাম বলেনি আমাকে।’
Discussion about this post