নামেই ছিল বিসিবি একাদশ। আদতে জাতীয় দল নিয়েই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু একী! তারকায় ঠাসা দলটাও উড়ে গেল। তাও আবার সেই দলের কাছে যারা কিছুদিন আগেই আফগানিস্তানের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছিল।
বিসিবি একাদশের মোড়কে জাতীয় দল নিয়েই বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নামেন মাশরাফিরা। সেই লড়াইয়ে জিম্বাবুয়ের ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিল। এলটন চিগুম্বুরার দল ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নিতে ভুল করল না।
বৃহস্পতিবার ফতুল্লায় সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে টস জেতে জিম্বাবুয়ে। প্রথমে বিসিবি একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সফরকারীরা। সৌম্য সরকার ইনজুরিতে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া ইমরুল কায়েস ঝলক দেখালেন। ধরে রাখলেন জাতীয় লিগের ফর্ম। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬। এনামুল হক বিজয় ফিরে যান ৫২ রানে। মুশফিকুর রহিম ছিলেন দারুণ ছন্দে। অপরাজিত ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটে ৩৮ রান। তাতেই ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বিসিবি একাদশ করে ২৭৭ রান।
গ্রায়েম ক্রেমার ও লুক জংউই তুলে নেন ৩টি করে উইকেট।
এরপর জবাব দিতে নেমে শুরুতেই সফরকারীদের চেপে ধরে বিসিবি একাদশ। ৫১ রানে ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মনে হচ্ছিল বুঝি ম্যাচটা জিততে যাচ্ছে টাইগাররা। কিন্তু বোলাররা ছন্দ হারালে হিসেব পাল্টে যায়। এরই ফাঁকে ক্রেইগ অরভিন ৯৫, শন উইলিয়ামস ৫৪ এবং এলটন চিগুম্বুরার অপরাজিত ৬৪ রান করেন। তাতেই ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে চলে যায় জয়ের বন্দরে। সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন ২ উইকেট। অন্যটি শফিউল ইসলামের।
হার দিয়ে শুরু করার পর এবার সত্যিকারের লড়াই। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ৭ নভেম্বর মিরপুরে প্রথম ওয়ানডে। পরের দুই ওয়ানডে ৯ এবং ১১ নভেম্বর, মিরপুরেই।
Discussion about this post