অজি ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান অ্যাশটন অ্যাগারের ব্যাটে এমন নাটক জমেছিল কে জানত? ১৯ বছরের যে তরুণের ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে অভিষেক বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে, কে জানত ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ব্যাটেই তিনি নায়ক? কেউই ভাবেনি। তবে খেলাটা যখন ক্রিকেট তখন তার পরতে পরতে তো বিস্ময় লুকানো থাকেই। তারই প্রমাণ মিলল কাল ট্রেন্ট ব্রিজ মাঠে। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ২১৫ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া যখন ১১৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপছে, তখনই ব্যাট হাতে প্রতিরোধের দেয়াল গড়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা ১১ নম্বর অজি ব্যাটসম্যান অ্যাগার। সঙ্গে ফিল হিউজ। সতীর্থ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে আসা-যাওয়ার মিছিলে যিনি একা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অ্যাগার এবং হিউজ দশম উইকেটে গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড ১৬৩ রানের জুটি। যাতে ৯৮ রান করে শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে যান অ্যাগার। ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন হিউজ। হাতে শেষ উইকেট আর ৯৮ রানে পিছিয়ে থাকা অজিরা শেষতক প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অল আউট হয়। অলৌকিকভাবে লিড পায় ৬৫ রানের।
সকালে ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের রিভার্স সুইং এবং স্পিনার গ্রায়েম সোয়ানের ঘূর্ণিতে চোখে শর্ষে ফুল দেখছিল অজি ব্যাটসম্যানরা। আগের দিনের ৪ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে খেলতে নামা অজিরা দিনের খেলা ঘণ্টা পূরণের আগেই ৯ উইকেট হারায় ১১৭ রানে। আসলে ৩১ বলের ব্যবধানে ৯ রানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ধ্বংসের মূল নায়ক অ্যান্ডারসন। ৮৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এ পেসার। ২টি করে উইকেট নেন স্টিভেন ফিন ও সোয়ান। কিন্তু অ্যাগার এবং হিউজের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরে আসে অস্ট্রেলিয়া। সেটা এমনভাবেই যে, এবার উল্টো ইংল্যান্ডকে চেপে ধরে অজিরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ২১৫/১০ (কুক ১৩, রুট ৩০, ট্রট ৪৮, পিটারসেন ১৪, বেল ২৫, বেয়ারস্টো ৩৭, প্রায়র ১, ব্রড ২৪, সোয়ান ১, ফিন ০, অ্যান্ডারসন ১*; সিডল ৫/৫০, প্যাটিনসন ৩/৬৯, স্টার্ক ২/৫৪)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ২৮০/১০ (ওয়াটসন ১৩, রজার্স ১৬, কাওয়ান ০, ক্লার্ক ০, স্মিথ ৫৩, হিউজ ৮১*, হাডিন ১, সিডল ১, স্টার্ক ০, প্যাটিনসন ২, অ্যাগার ৯৮; অ্যান্ডারসন ৫/৮৫, সোয়ান ২/৬০, ফিন ২/৮০, ব্রড ১/৪০)।
Discussion about this post