সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই যেন হল। পাত্তা পেল না পাকিস্তান। টাইগারদের জয়জয়কার। বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের অনায়াস জয় মাশরাফি বিন মর্তুজাদের। আর তাতেই ৩-০’তে সিরিজ বাংলাদেশের।
ম্যাচে জয়ের নায়ক সৌম্য সরকার। তার ক্যারিয়ারের প্রথম শতরানই তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের সহজ জয় এনে দিল টাইগারদের। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে জিতেছিল টাইগাররা। পরের ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে ২বার করে নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া এবং একবার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সেই তালিকায় যুক্ত হল পাকিস্তানের নাম।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা ৪৯ ওভারে অলআউট হয়ে তুলে ২৫০ রান। আজহার আলী করেন ১০১ রান।
জবাব দিতে নেমে ৩৯.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচে অনায়াস জয়ের পথটা করে দেন তামিম ইকবাল এবং সৌম্য। আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এবারো শতকের পথেই ছিলেন। সৌম্যর সঙ্গে তামিম গড়েন ১৪৫ রানের জুটি। কিন্তু অবদান ৬৪ রান করে ফিরে যান তামিম। তাতেই গড়ে ফেলেন অনন্য এক রেকর্ড। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের নিজের রেকর্ড এখন তার। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজে তার মোট রান ৩১২।
তবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করলেন না সৌম্য। দারুণ ব্যাট চালিয়েছেন তিনি।
তার সঙ্গে সাবলীল ছিল মিস্টার ডিপেনডেবল বলে পরিচিত মুশফিকুর রহীমের ব্যাট। ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর ম্যাচসেরা সৌম্যর রান ১২৭। সিরিজের সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ৪৯ ওভারে ২৫০/১০ (আজহার ১০১, আসলাম ৪৫, হফিজ ৪, হারিস ৫২, রিজওয়ান ৪, ফাওয়াদ ৪, নাসিম ২২, ওয়াহাব ৭, গুল ০, বাবর ১*, জুনায়েদ ৪; সাকিব ২/৩৪, আরাফাত ২/৪৩, রুবেল ২/৪৩, মাশরাফি ২/৪৪, নাসির ১/৩৭)
বাংলাদেশ: ৩৯.৩ ওভারে ২৫১/২ (তামিম ৬৪, সৌম্য ১২৭*, মাহমুদউল্লাহ ৪, মুশফিক ৪৯*; জুনায়েদ ২/৬৭)
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: সৌম্য সরকার
সিরিজ: বাংলাদেশ ৩-০তে জয়ী
সিরিজসেরা: তামিম ইকবাল
Discussion about this post