তিনি কবে ফিরবেন এনিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। অবশেষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফের দেখা মিলল তামিম ইকবালের। গত বুধবার ২১৯ দিন পর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার। জাতীয় ক্রিকেট লিগে ফিরেই করেন মাত্র ১৩ রান। কিন্তু আজ একদিন বাদেই ব্যাটে ছড় তুললেন তামিম। ২৭ বলে ফিফটি তুলে বুঝিয়ে দিলেন লম্বা বিরতিতে থাকলেও ছন্দ কমেনি।
এনসিএলের টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয়দিনে আজ তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো। তামিমের হাফসেঞ্চুরির ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রাম জয় লাভ করে ১২ রানে। সিলেট একাডেমি মাঠে অন্য সকালের অন্য ম্যাচ খুলনায় নাটকীয় ভঙ্গিতে ১ রানে হারায় বরিশালকে। দুুপুরের ম্যাচে রংপুর ডিএল ম্যাথডে ২১ রানে হারায় ঢাকাকে। আরেক ম্যাচে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে এসে ঢাকা মেট্রোর বিরুদ্ধে রাজশাহী ম্যাচ হারে ৫ রানে।
এদিন বরিশালের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনা তুলে ৯ উইকেটে ১৩০ রান। খুলনার অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান সেরা ব্যাটার। ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় করেন ৩৯ রান। বরিশালের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বী ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন।
শেষ তিন বলে তাদের প্রয়োজন দাড়ায় মাত্র ৩ রান। হাতে ৪ উইকেট। তখনই ভুল করে বরিশাল। মেহেদি হাসান রানার সেই ওভারে বরিশালের সর্বনাশ। ২৭ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করা মঈন খান সুযোগ পাননি। শেষের তিন বলে মাত্র এক রান তুলে বরিশাল।
এদিকে ঢাকা মেট্রোর ১৬২ রানের ইনিংসে ওপেনার নাঈম শেখ ২৩ বলে ৪৩ তুলেন। ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কা। রাজশাহীর মোহর শেখ ৩৭ রানে ৩ উইকেট পান। জবাবে নেমে রাজশাহীকে এগিয়ে নেন অলরাউন্ডার ফরহাদ হোসেন। ৩৫ বলে ৬০ রান করেন তিনি। কিন্তু শেষ দুই বলে হারায় শেষ দুই উইকেট। অলআউট ১৫৪ রানে। ঢাকা মেট্রোর পেসার শহিদুল ইসলাম ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন।
সিলেট একাডেমির মাঠে রংপুর ১৪০ রান তুলে। আলোর স্বল্পতার কারণে ঢাকার জন্য ম্যাচের ওভার কমিয়ে ১৭ করা হয়। জয়ের টার্গেট হয় ১৩৪ রানে। কিন্তু থামে ১১২ রানে।
Discussion about this post