সিরিজ আগেই হেরে গিয়েছিল দল। তারপরও লড়াই ছিল বাকি। সেটি হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর। মনে হচ্ছিল এই লড়াইয়ে জিতে যাবে বাংলাদেশ। কারণ ৩২১ রান পুঁজি নিয়েও যদি জেতা না যায় তাহলে তো বিস্মিত হতেই হয়।
বৃহস্পতিবার সেই বিস্ময়েরই জন্ম দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয়বার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল ক্যারিবীয়রা। অভিষেকে আমির জাঙ্গুর সেঞ্চুরি তুললেন। আর বাংলাদেশকে ধবল ধোলাই করল স্বাগতিকরা। ৪ উইকেটের জয়ে দশ বছর পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে গুডাকেশ মোটির সঙ্গে জাঙ্গুর ৯১ রানের ঝড়ো জুটিতেই সর্বনাশ বাংলাদেশের। ২৫ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় উইন্ডিজ। ৮৩ বলে চার ছক্কা ও ছয় চারে ১০৪ রানে নটআউট জাঙ্গু। তিন ছক্কা ও চারে মোটি ৩১ বলে করেন ৪৪।
হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে নিজেদের রেকর্ড ৩২১ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা আমির জাঙ্গুর সেঞ্চুরি এবং কেসি কার্টি ও গুডাকেশ মোটির দাপটে ম্যাচটা হেরে গেল দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯৫ রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করে রেকর্ড গড়ে তারা। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় ক্যারিবীয়রা।
টেস্টের পর এবার ওয়ানডেও শেষ। সামনে উইন্ডিজের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি লড়াই বাংলাদেশের। সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে লড়বে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৫ (তানজিদ ০, সৌম্য ৭৩, লিটন ০, মিরাজ ৭৭, আফিফ ১৫, মাহমুদউল্লাহ ৮৪*, জাকের ৬২*; জোসেফ ১০-১-৪৩-২, ব্লেডস ৬-০-৭৩-০, শেফার্ড ১০-১-৬৫-০, চেইস ৮-১-৩৮-০, মোটি ১০-০-৬৪-১, রাদারফোর্ড ৬-১-৩৭-১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫.৫ ওভারে ৩২৫/৬ (কিং ১৫, আথানেজ ৭, কার্টি ৯৫, হোপ ৩, রাদারফোর্ড ৩০, জাঙ্গু ১০৪*, চেইস ১২, মোটি ৪৪*; হাসান ৮-০-৫২-১, নাসুম ৭-০-৫৬-১, মিরাজ মিরাজ ১০-০-৬৭-০, তাসকিন ৯-০-৪৯-১, রিশাদ ৮.৫-০-৬৯-২, আফিফ ২-০-১৯-০, সৌম্য ১-০-৬-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০তে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ম্যাচসেরা: আমির জাঙ্গু
সিরিজসেরা: শেরফেইন রাদারফোর্ড
Discussion about this post