গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল নাটকীয়, আর সেই নাটকের কেন্দ্রে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। আগের দিন বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে শান্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন ১৪৮ রানে। কিন্তু দিনের সপ্তম ওভারেই সেই ইনিংস থামিয়ে দেন আসিথা ফার্নান্দো ও ম্যাথুসের যৌথ প্রয়াসে। ইনিংসের ৯৭তম ওভারে ফার্নান্দোর বল শান্তের ব্যাট ছুঁয়ে উঠে গেলে মিড অফে দারুণ ডাইভ দিয়ে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন ম্যাথুস। উইকেট পাওয়ার পর তাঁর উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো-যেন বুঝিয়ে দিলেন, এই উইকেট পেতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।
১৪৮ রানের ইনিংসটি শান্তর টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংসটিও এসেছিল এই লঙ্কানদের বিপক্ষেই, ২০২১ সালে পাল্লেকেলেতে, যেখানে তিনি করেছিলেন ১৬৩ রান। আজকের ইনিংসেও তিনি একটা ধাক্কা সামলে ফিরেছিলেন। দিনের শুরুতে, ইনিংসের ৯৫তম ওভারে এলবিডব্লিউর শিকার হলেও রিভিউয়ে বেঁচে যান ১৪৩ রানে। কিন্তু সে যাত্রা থেকে মাত্র পাঁচ রান যোগ করেই ফিরতে হয় তাকে।
শান্তের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভাঙে বাংলাদেশের ২৬৪ রানের চতুর্থ উইকেটের জুটি—যা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি। এই জুটির আরেক প্রান্তে থাকা মুশফিকুর রহিম তখন অপরাজিত ১১৮ রানে। এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে মুশফিক আরও একবার প্রমাণ করেছেন, কেন তাঁকে বলা হয় বাংলাদেশের সেরা টেস্ট ব্যাটার। তাঁর আগে রয়েছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি, আর গলের উইকেটে যেভাবে খেলছেন, তাতে চতুর্থটিও কেবল সময়ের অপেক্ষা মনে হচ্ছে।
মুশফিকের এই ইনিংসই নয়, পুরো ক্যারিয়ারই বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৬১৭৩), সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার (৯৭) এবং সর্বোচ্চ ডাবল সেঞ্চুরির মালিক—সবই মুশফিক। গলে তিনি আরও একটি বড় মাইলফলকের দিকে এগোচ্ছেন।
Discussion about this post