আগের দিনই রোমাঞ্চকর ক্রিকেট উপহার দিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দাবি অনুযায়ী আইসিসি প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার পেয়ে নির্ভার হয়েই খেলেছেন দলটির ক্রিকেটাররা। কারণ বাজে আম্পায়ারিং নিয়েই তো ছিল যতো ভয়। বেশ কয়েকবছর ধরেই এ কারণে শিরোপার কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয় লিজেন্ডসদের। মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকার ম্যাচে বাজিমাত করে দলটি। একদিন পর সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখল লিজেন্ডসরা।
এবার ব্যাটসম্যানরা গড়লেন পাহাড় সমান স্কোর। এরপর বোলাররা দেখালেন দাপট। তার পথ ধরে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ম্যাচে বুধবার পারটেক্স স্পোটিং ক্লাবের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পেলো ২৭ রানের অনায়াস জয়।
এদিন সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জ ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলে ঠিক ২০০ রান। যা কীনা চলতি লিগের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে পারটেক্স স্পোটিং ক্লাব ২০ ওভারে ৮ উইকেটে আটকে যায় ১৭৩ রানে।
ম্যাচে শতরান পেতেই যাচ্ছিলেন রূপগঞ্জের ওপেনার মেহেদী মারুফ। কিন্তু দুর্ভাগাই বলতে হবে তাকে। আটকে যান নার্ভাস নাইনটিজে। ৯৪ রানে ফেরে সাজঘরে। এই ইনিংস খেলতে খরচ করেন ৬৩ বল। ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ছয় ছক্কা। অন্যপ্রান্তের ওপেনার জাকের আলি। চার-ছক্কার বৃষ্টি ছিল তার ব্যাটেও। তিনি থামেন ৪৮ বলে ৭৬ রানে। ইনিংসে ছক্কা ৪টি ও চার ৫টি।
রূপগঞ্জের দুইশ রানের জবাবে নেমে শুরুতেই পথ হারায় পারটেক্স। বিশেষ করে স্পিনের সামনে দলটি অসহায় হয়ে পড়ে। চেপে ধরেন সোহাগ গাজীরা। তুলে নেন একের পর এক উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে পুরোটা সময় দাপট ছিল লিজেন্ডসদের। জনি তালুকদার করেন ২৬ রান। আর ইশারুল ইসলাম তুলেন ২২ বলে ৩৮ রান।
রূপগঞ্জের হয়ে সোহাগ গাজী ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। সানজামুল ইসলাম ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ৩৫ রান। একটি করে উইকেট নেন নাবিল সামাদ ও মুক্তার আলি ।
আগের দিন ওল্ড ডিওএইচএসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে লিজেন্ডসরা জানান দিয়েছিল, তারা প্রিমিয়ার লিগের যোগ্য দল। আনন্দে ভেসে ছিলেন দলের ক্রিকেটাররা। এবার রেলিগেশন পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে লিজেন্ডসরা বুঝিয়ে দিল-নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং হলে বেশ নির্ভারে খেলতে পারে তারা, তুলে নিতে পারে দাপুটে জয়। গতবারের রানার্স আপরা শেষে এসে ঠিকই দারুণ ক্রিকেট উপহার দিল!
Discussion about this post