রস টেলরের ম্যাচটাকে স্মরণীয় করেই রাখলেন তার সতীর্থরা। বুধবারই দুটো রেকর্ড যোগ হয়েছে তার নামের পাশে। নাথান অ্যাস্টলকে পেছনে ফেলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। অার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই শতরানে দেশের হয়ে দ্রুততম ৬ হাজার রান করার মাইলফলকও গড়েন টেলর।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টেলর ১০৮ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ১০২ রান করে অপাজিত থাকেন। এখন ওয়ানডের মতো টেস্টেও দেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার পথে তিনি। সর্বোচ্চ ১৭টি টেস্ট সেঞ্চুরি নিয়ে শীর্ষে মার্টিন ক্রো। ১৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে এরপরই টেলর।
ঠিক এমন ম্যাচে হারতে ভুলে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিক্ত স্বাদ দিল কিউইরা। নিজেদের ইতিহাসে টানা ১২ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করার তৃপ্তি নিয়ে এদিন এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল নেমেছিল মাঠে। কিন্তু অপয়া তেরতে এসে আটকে গেল দল। রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ রানে হারাল স্বাগতিকরা। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা।
বুধবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান করে নিউজিল্যান্ড। উইলিয়াসন ৭৫ বলে ৬৯ ও নিশাম করেন ৫৭ বলে ৭১* রান করেন। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রানেই আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক ৫৭, ডি ভিলিয়ার্স ৪৫ ও ডুমিনি ৩৪ রান করেন।
শনিবার ওয়েলিংটনে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে লড়বে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৮৯/৪ (ব্রাউনলি ৩৪, ল্যাথাম ২, উইলিয়ামসন ৬৯, টেলর ১০২*, ব্রুম ২, নিশাম ৭১*; পার্নেল ১/৪৯, প্রিটোরিয়াস ২/৪০, তাহির ১/৬১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮৩/৯ (আমলা ১০, ডি কক ৫৭, ডু প্লেসিস ১১,ডুমনি ৩৪, ডি ভিলিয়ার্স ৪৫, মিলার ২৮, প্রিটোরিয়াস ৫০, মরিস ৭, ফেলুকওয়েয়ো ২৯*; সাউদি ১/৬০, বোল্ট ৩/৬৩, গ্র্যান্ডহোম ১/১০, সোধি ১/৬৩, স্যান্টনার ২/৪৬)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: রস টেলর
Discussion about this post