ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়টাকে রীতিমতো অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কম তো হয়নি চার সিরিজ। ১০ বছর। কিন্তু এবার সেই চেনা পথ চেনা রেকর্ডটাও হাতছাড়া। সিরিজ হেরে গেল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লড়তেই পারল না মেহেদী হাসান মিরাজের দল। জেডেন সিলসের তোপে ২২৭ রানের পুঁজি নিয়ে শেষ। এরপর উইন্ডিজ লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলল ৭৯ বল হাতে রেখে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা চার সিরিজ হারার পর এবার জিতল ক্যারিবীয়রা। ২০১০ সালের পর প্রথমবার বাংলাদেশকে এই ফরম্যাটে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২২ রানে ৪ উইকেট নেন সিলস। ৩৬ রানে ২ উইকেট গুডাকেশ মোটির।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে লড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম সাকিব। তানজিমের বিদায়ের পরের ওভারেই আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। ৯২ বলে ৬২ রানে ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ছক্কার রেকর্ডে এখন যৌথভাবে মাহমুদুল্লাহ ও তামিম ইকবালের (১০৩টি)।
তানজিমের ব্যাটে আসে ক্যারিয়ারসেরা ৪৫। যদিও টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় এরপর বল হাতে কিছুই করা হয়নি।
সেন্ট কিটসের মাঠেই বৃহস্পতিবার হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৫.৫ ওভারে ২২৭/১০ (তানজিদ ৪৬, সৌম্য ২, লিটন ৪, মিরাজ ১, আফিফ ২৪, মাহমুদউল্লাহ ৬২, জাকের ৩, রিশাদ ০, তানজিম ৪৫, শরিফুল ১৫, নাহিদ ৪*; মিন্ডলি ৭-১-৪৫-১, সিলস ৯-১-২২-৪, শেফার্ড ৮.৫-১-৫০-১, গ্রেভস ৭-০-৪৪-১, মোটি ১০-১-৩৬-২, চেইস ৪-০-১৮-১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৬.৫ ওভারে ২৩০/৩ (কিং ৮২, লুইস ৪৯, কার্টি ৪৫, হোপ ১৭*, রাদারফোর্ড ২৪*; শরিফুল ৬.৫-০-৫৪-০, তানজিম ৬-০-৪৫-০, মিরাজ ৫-০-২৪-০, নাহিদ ৮-০-৩৬-১, রিশাদ ৮-০-৫৩-১, আফিফ ৩-০-১২-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ম্যাচসেরা: জেডেন সিলস।
Discussion about this post