ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট। এখানেও সেই একই গল্প। একই ব্যর্থতার পথে হেটে চলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভয়াবহ বিপর্যয় হলো বাংলাদেশের। স্বাগতিকরা মঙ্গলবার পঞ্চম দিন সকালেই ১০ উইকেটে জিতে নিল কিংসটাউন টেস্ট।
দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি জিতে নিরাপদে এখন ক্যারিবিয়রা। অন্তত সিরিজ হারছে না তারা।
উল্টো দিকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের পর এবার টেস্টেও দল ভরাডুবির শঙ্কায়। তবে লড়লেন মুশফিকুর রহীম। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও কথা বলল বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট। স্রোতের বিপরীতে দাড়িয়ে এবার তুলে নিলেন তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অধিনায়ক আউট হন ১১৬ রানে। ২৪৩ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৫ চার ও ১ ছক্কা। ১ম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ৪৮।
মঙ্গলবার আর্নস ভ্যালে গ্রাউন্ডে সকালে লক্ষ্য ছিল একটাই ইনিংস হার এড়ানো। এরপর টেস্টে ড্রয়ের পথে এগিয়ে চলা। শেষদিকে মঙ্গলবার কিছুটা দৃঢতা দেখাতে পারলেই চলত। কিন্তু আগের দিন অপরাজিত নাসির হোসেন সব শেষ করে দিলেন। আগের ইনিংসের মতো এবারো তার কান্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিং। মাত্র ১৯ রান করে কেমার রুচের বলে আউট হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। এরপরের ব্যাটসম্যানরা শুধুই আসা আর যাওয়ার দায়টুকু যেন সেরেছেন।
এক প্রান্তে দাড়িয়ে সর্তীথদের এমন বাজে ব্যাটিং দেখতে হয়েছে মুশফিককে। দল যখন ৯ উইকেট হারাল তখন ছক্কা হাকিয়ে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক।
অধিনায়কের শতরানটাই একমাত্র প্রাপ্তি।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়ে তুলে ৩১৪ রান। ইনিংস হার এড়ায়। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নেন কেমার রোচ। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাড়ায় ১৩ রান। সেই রান কোন উইকেট না হারিয়ে ২.৪ ওভারে তুলে নেন ক্রিস গেইল এবং ক্রেইগ বেথওয়াইট। ১০ উইকেটে অনায়াসে প্রথম টেস্ট জিতে যায় ক্যারিবিয়রা।
১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৪৮৪/৭ ডিক্লে. (ব্রাথেট ২১২, গেইল ৬৪, ব্রাভো ৬২, চন্দরপল ৮৫*, তাইজুল ৫/১৩৫) ও ২য় ইনিংস : ১৩/০ (গেইল ৯*, ব্রেথওয়েইট ৪*)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ১৮২/১০ (শামসুর ৩৫, মমিনুল ৫১, মুশফিক ৫১*, বেন ৫/৩৯) ও ২য় ইনিংস : ৩১৪/১০ (মুশফিকুর ১১৬, তামিম ৫৩, মাহমুদুল্লাহ ৬৬, রোচ ৪/৬৪) ।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : ক্রেইগ ব্রেথওয়েইট
Discussion about this post