বিকেএসপিতে ম্যাচ কাভার করতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। দর্শকও ছিল মাঠে। বোলার, অধিনায়ক, বাকি ফিল্ডার ও কোচ কেউ বিষয়টি খেয়াল করেননি। এমনকি ওই ম্যাচের স্কোরারদের চোখেও পড়েনি। কিন্তু সবারই চোখ এড়িয়ে গেল। গত রোববার গাজী ট্যাংকের উদ্বোধনী পেসার রুবেল হোসেন হ্যাটট্রিক করেছেন। প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে ৬ উইকেট পাওয়া জাতীয় দলের এ স্ট্রাইক বোলার ব্রাদার্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়েছেন।
যিনি হ্যাটট্রিক করেছেন সেই বোলার রুবেল হোসেন নিজেই জানেন না। তিনি একা নন, তার দলের বাকি ১০ জন ফিল্ডার, অভিজ্ঞ ও দক্ষ কোচ সারোয়ার ইমরান, যিনি বল টু বল মার্ক করেন; তিনিও খেয়াল করেননি। সাধারণত পরপর দুই বলে উইকেট পাওয়ার পর হ্যাটট্রিক ডেলিভারির আগে বোলার-অধিনায়ক মিলে ফিল্ডিংয়ে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনেন। রোববার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে এর কিছুই হয়নি। কী করে হবে?
কিন্তু বাস্তবতা হল-নিজের নবম ওভারের শেষ আর ১০ নম্বর ওভারের প্রথম দুই বলে পরপর তিনজনকে আউট করেছেন রুবেল। তার করা ইনিংসের ৪৮ নম্বর ওভারে শেষ বলে বোল্ড হন ব্রাদার্স অলরাউন্ডার সোহরাওয়ার্দী শুভ। আর ৫০ নম্বর ওভারের প্রথম বলে রুবেল ফিরিয়ে দেন মেহরাব জুনিয়রকে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এ বাঁহাতি। আর ঠিক পরের বলেই শেষ ব্যাটসম্যান আহসানুল হক লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়ালে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয়। কিন্তু ঘটনাটি সবার চোখ এড়িয়ে যায়। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, বোলার রুবেলও খেয়াল করেননি। এক সাংবাদিকের ফোন পেয়ে উল্টো প্রশ্ন তার-‘কে বলল আমি হ্যাটট্রিক করেছি? নাহ, মনে হয় না।’ পরে আলাপ দীর্ঘ হওয়ার পর তার মনে হয়েছে, শেষ দুই ওভারে পরপর তিন বলে তিনজনকে আউট করেছেন। তাই তো বিস্ময় কণ্ঠে বললেন-‘আরে হ্যাঁ, তাহলে তো হ্যাটট্রিকই হয়েছে।’ এটাই তার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক!
Discussion about this post