আজ শনিবার মুলতান টেস্টের প্রথম দিন নোমান আলির সাফল্যের গল্প যেন পাকিস্তানি ক্রিকেটের নতুন অধ্যায় লিখল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম সেশনে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে এই স্পিনার জায়গা করে নিলেন ইতিহাসের পাতায়। বয়স-অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার মেলবন্ধনে -নোমান প্রমাণ করলেন, ক্রিকেটে বয়স আসলে শুধুই একটি সংখ্যা।
ম্যাচের অষ্টম ওভারে আক্রমণে আসা নোমান তার দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে আউট করে দেন। তৃতীয় ওভারে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথমে বাড়তি টার্নে গালিতে ক্যাচ দেন জাস্টিন গ্রেভস। পরের ডেলিভারিতে টেভিন ইমলাখ সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন। শেষ বলটিতে কেভিন সিনক্লেয়ার ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে গালিতে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। বাবর তখন মাটিতে বসে হাসছেন, আর ফিল্ডাররা ছুটে যাচ্ছেন নোমানের দিকে।
নোমানের এই কীর্তি পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট হ্যাটট্রিকের তালিকায় ষষ্ঠ। তবে স্পিনার হিসেবে এটি প্রথম। এর আগে পাঁচটি হ্যাটট্রিকই করেছিলেন পেসাররা-দুটি ওয়াসিম আকরাম, একটি করে আব্দুল রাজ্জাক, মোহাম্মদ সামি এবং নাসিম শাহ।
৩৮ বছর ১১০ দিন বয়সে হ্যাটট্রিক করা নোমান টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রবীণতম বোলার হিসেবে এই অর্জন করলেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ, যিনি ৩৮ বছর ১৩৯ দিন বয়সে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
পাকিস্তানের মাটিতে হ্যাটট্রিকের কীর্তি নতুন নয়। তবে স্পিনার হিসেবে প্রথমবারের মতো এই কীর্তি গড়ে নোমান আলী যেন পাকিস্তানের ক্রিকেটে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। ১৯ টেস্টে ৮ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া এই বোলার টানা ৫ টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে তার ধারাবাহিকতাও প্রমাণ করলেন।
Discussion about this post