হিসেবের ছক উল্টে দেয়া গেল না! দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সেই পুরনো রোগ। ব্যাটসম্যানদের উইকেটে আসা-যাওয়ার খেলা। এমন ‘আত্মহত্যা’র খেলায় শেষ পর্যন্ত চারদিনেই ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট হেরে গেল বাংলাদেশ। আদতে টেস্ট তিনদিনেই হারল। কেননা, ম্যাচের তৃতীয় দিন তো বৃষ্টির জন্য খেলাই হয়নি! শেষ টেস্ট ৯ উইকেটে হেরে দুঃস্বপ্নের মতো এক কিউই সফর শেষ করল বাংলাদেশ।
এর আগে ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টিতেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাতেই এমন ভরাডুবি। ২য় ইনিংসে কিছু করা হল না। যেন সবাই উইকেট বিলিয়ে দিতেই নেমেছিলেন মাঠে। সেই তালিকায় ছিলেন খোদ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় ডোবার পর তাইতো বলছিলেন, ‘আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। আমি যেভাবে আউট হলাম, তা অধিনায়ক সুলভ ছিল না। তখনই আসলে ব্যর্থতার পথটা তৈরি হয়ে যায়। এই হারের পুরো দায় আমার।’
সোমবার নিউজিল্যান্ডকে ১ম ইনিংসে ৩৫৪ রানে অলআউট করে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ২য় ইনিংসে দল ব্যাট হাতে কিছুই করা হল না। ১৭৩ রানে অলআউট। ১০৯ রানের সেই টার্গেট ১ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনেই তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড সফরে আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে হার সবকটিতেই। এবার দেশে ফেরার পালা। তারপরই মিশন ভারত। ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট। তারপরই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পুর্নাঙ্গ এক সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৮৯/১০
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯২.৪ ওভারে ৩৫৪/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫২.৫ ওভারে ১৭৩/১০ (তামিম ৮, সৌম্য ৩৬, মাহমুদউল্লাহ ৩৮, সাকিব ৮, শান্ত ১২, সাব্বির ০, নুরুল ০, মিরাজ ৪, তাসকিন ৩৩, রাব্বি ২৫*, রুবেল ৭; বোল্ট ৩/৫২, সাউদি ৩/৪৮, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/২৭, ওয়াগনার ৩/৪৪)।
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১৮.৪ ওভারে ১১১/১ (রাভাল ৩৩, ল্যাথাম ৪১*, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩৩*; তাসকিন ০/২১, মিরাজ ০/২৭, কামরুল ১/২১, সাকিব ০/২৮)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: নিউজিল্যান্ড ২-০তে জয়ী
ম্যাচসেরা: টিম সাউদি
Discussion about this post