বল হাতে সাফল্য পেলেও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কালও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ব্যাট হাতে নয় বলে করে যান ৩ রান। সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে তার দল বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসও সিপিএলে প্রথম হারের মুখ দেখেছে। বার্বাডোসকে কাল ২৭ রানে হারিয়েছে গায়ানা। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের লড়াকু পুঁজি গড়েছিল গায়ানা। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ১২২ রানে অল আউট বার্বাডোস। পাঁচ ম্যাচে এটাই প্রথম হার তাদের। যদিও ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের লিগে বার্বাডোস এখনও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। কাল আরেক ম্যাচে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ডি/এল মেথডে ১ রানে হারায় অ্যান্টিগাকে।
গায়ানা-বার্বাডোস ম্যাচে ব্যবধানটা গড়ে দেন মূলত গায়ানার কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল। আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স শুরুতে শূন্য রানে ফিরে গেলেও গাপটিল খেলে দেন ৫৫ বলে ৭৩ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস। যাতে ছিল ৪ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারি। তাকে যোগ্য সঙ্গত করে যান গায়ানার পাকিস্তান রিক্রুট মোহাম্মদ হাফিজ। ২ চার ও সমান ছক্কায় তিনি করেন ৩৫ রান। যদিও সেজন্য খরচ করেন ৩৭ বল। তবে গাপটিলের সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। তাতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত পায় গায়ানা। গাপটিল ও হাফিজ ফিরে গেলে শুধু জেমস ফ্রাঙ্কলিনই ১৬ রান করেন। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই আর দুই অঙ্কের রান পাননি। সাকিব তুলে নেন মারকুটে ক্রিস্টোফার বার্নওয়েল (০) ও রামনরেশ সারওয়ানের (১) উইকেট। বাবাডোর্সের সেরা বোলার অবশ্য ছিলেন মিডিয়াম পেসার রায়াদ এমরিট। ২৭ রানে নেন ৩ উইকেট।
জয়ের জন্য ১৫০ রান খুব বেশি বড় টার্গেট ছিল না। কিন্তু সেটা তাড়া করতে গিয়েই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বার্বাডোসের ব্যাটিং। ১৭ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। ১ রানে ফিরে যান কার্ক এডওয়ার্ডস। ডোয়াইন স্মিথ ও শোয়েব মালিক পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। ২৮ রানে হাফিজের বলে স্মিথ এলবিডব্লিউ হতেই বার্বাডোসের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। মালিক একদিন ধরে রাখলেও অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়েছে নিয়মিত। উমর আকমল (০), কায়রন পোলার্ড (১), সাকিব (৩) কারও ব্যাটই বাবাডোর্সকে ভরসা জোগাতে পারেনি। দলের সর্বাধিক ৪৮ রান করে মালিক যখন আউট হন তখন বাবার্ডোসের রান ৮ উইকেটে ১০৬। জয় মোটামুটি হাতছাড়া। বাকি আট বলে জিততে দরকার ছিল ৪৪ রান। তার আগেই দুই বল বাকি থাকতেই ১২২ রানে অল আউট বার্বাডোস। ব্যাটে রান করার পাশাপাশি বল হাতেও ১৯ রানে ৩ উইকেট পান হাফিজ। তবে ম্যাচসেরা-গাপটিলই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গায়ানা : ১৪৯/৯, ২০ ওভার (গাপটিল ৭৩, হাফিজ ৩৫, ফ্রাঙ্কলিন ১৬; এমরিট ৩/২৭, সাকিব ২/২৫)।
বার্বাডোস : ১২২/১০, ১৯.৪ (শোয়েব মালিক ৪৮, স্মিথ ২৮, বার্থওয়েট ১৮, হোল্ডার ১৬, সাকিব ৩; হাফিজ ৩/১৯, জ্যাকবস ২/১৫, সানটোকি ২/২১)।
ফল : গায়ানা ২৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মার্টিন গাপটিল।
Discussion about this post