ব্যাটিংয়ে দাপট বুঝিয়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহটা গড়েছিল স্বাগতিকরা। এই দাপটের সামনে শেষ অব্দি বাংলাদেশ পারল না। হার দিয়েই জিম্বাবুয়ে সফর শুরু হলো টাইগারদের।
অথচ লিটন দাসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনার পর লড়েছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সিরিজের প্রথম টি-টেুয়েন্টিতে ১৭ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ক্রেইগ আরভিনের জিম্বাবুয়ে।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শনিবার জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে করে ২০৫ রান। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ থামে ১৮৮ রানে। আসলে শেষ ১০ ওভারে ১৩১ রান তুলে নিয়ে ম্যাচে জিম্বাবুয়ে। তারপর লড়াই করা ছাড়া কিছুই অর্জন করা হয়নি। ২৬ বলে চার ছক্কা ও এক চারে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
১২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩২ রান। ১৯তম ওভারে মোড় ঘুরে যায়। এই ওভারে মাত্র ৪ রান নিতে পারে বাংলাদেশ, হারায় ১ উইকেট। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৮ । বাংলাদেশ নিতে পারে ১০ রান। ১৭ রানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
লড়াই করেও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ২৬ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন সোহান। শেষ দিকে কাউকে পাননি সঙ্গী হিসেবে। ২৫ বলে ৩৭ রান করে শান্ত আউট হলে ম্যাচের মোমেন্টাম পরিবর্তন হয়। মোসাদ্দেক ১০ বলে ১৩ রান করে ফেরেন ১৯তম ওভারে।
এর আগে লিটন দাস ভুল না করলে অন্য কিছু হতেও পারতো। ১৯ বলে ৩২ রান করে তিনি ফেরেন রান আউটে। এনামুল হক বিজয় সেট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ২৭ বলে ২৬ রান করেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন জংওয়ে।
এর আগে সিকান্দার রাজা ও ওয়েজলি মাধভেরে দাপটেই সর্বনাশ। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি করেন সিকান্দার রাজা। এটি তার ক্যারিয়ারের চার নম্বর টি-টুয়েন্টি ফিফটি। চার হাঁকিয়েছেন ৫টি আর ছয় ৩টি। ওয়েজলির সঙ্গে জুটি গড়ে মাত্র ৪৩ বলে করেন ৯৩ রান। ৪৬ বলে ৬৭ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়েজলি।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ১০ ওভারে আসে মাত্র ৭টি বাউন্ডারি, সব কটিই ছিল চার। এরপর জিম্বাবুয়ে ইনিংস শেষ করেছে ২৩টি চার ও ৫টি ছয়ে। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর তাদের। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এদিন মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেন মিলিয়ে ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৭ রান। কিন্তু বিশেষজ্ঞ বোলাররা ঠিক মতো বল করতে পারেননি। বাংলাদেশের তিন পেসার ছিলেন খরুচে। সর্বোচ্চ ৫০ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া শরিফুল ৪৫ ও তাসকিন দেন ৪২ রান। তিনজনে ১২ ওভারে দেন ১৩৭ রান! মুস্তাফিজ সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। ১ উইকেট নেন মোসাদ্দেক।
রোববার একই মাঠে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ২০৫/৩ (চাকাভা ৮, আরভিন ২১, মাধেভেরে ৬৭ (আহত অবসর), উইলিয়ামস ৩৩, রাজা ৬৫*, বার্ল ০*; তাসকিন ৪-০-৪২-০, নাসুম ৪-০-৩৮-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৫০-২, মোসাদ্দেক ৩-০-২১-১, শরিফুল ৪-০-৪৫-০, আফিফ ১-০-৬-০)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮৮/৬ (মুনিম ৪, লিটন ৩২, এনামুল ২৬, শান্ত ৩৭, আফিফ ১০, সোহান ৪২*, মোসাদ্দেক ১৩, নাসুম ০*; এনগারাভা ৪-০-৪৩-১. মাসাকাদজা ৩-০-২৩-১, চিভাঙ্গা ৩-০-২৮-০, উইলিয়ামস ২-০-৭-০, রাজা ৩-০-৩০-১, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৪-২, মাধেভেরে ১-০-১২-০)
ফল: ১৭ রানে জয়ী জিম্বাবুয়ে
Discussion about this post