আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল হকি ফেডারেশন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাই হল। পল্টন থানায় পাঁচজনের বিপক্ষে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামিরা হলেন-রাসেল খান বাপ্পি, আরিফুল হক প্রিন্স, আসাদুজ্জামান চন্দন, আশিকুজ্জামান ও শামসুদ্দিন তুহিন।
তাদের বিপক্ষে জাতীয় দলের পাকিস্তানি কোচ নাভিদ আলমকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে জোরপূর্বক বাধা-হুমকি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিতসহ আরও নানান অভিযোগ এসেছে। ফেডারেশন সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ বাদী হয়ে নিজেই এ মামলা করেছেন। মামলার নম্বর হল-৬১। ধারা হল-৩৪১ ও ৪৪৮ এবং প্যানেল কোড ৫০৬।
ফেডারেশন সম্পাদক পল্টন থানায় মামলার পর জানিয়েছেন, ‘আমরা আগেই বলেছি ফেডারেশন দোষীদের শাস্তি দিয়েছে। এখন আমরা নিজেরাই তাদের বিপক্ষে আইনি লড়াই চালাব। তাই অভিযুক্তদের বিচার হতে হবে। আপনি কীভাবে একজন বিদেশি কোচকে লাঞ্ছিত করেন? জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করেন। এভাবে কোনো কিছু চলতে পারে না। যারা এসব করেছে তাদের অবশ্যই বিচার হতে হবে।’
এদিকে বুধবার বিভিন্ন স্তরের ১২টি ক্লাব এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তারা ফেডারেশনের এহেন কর্মকাণ্ডে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং খেলোয়াড়দের বিপক্ষে আনা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা বলেছে। ক্লাবগুলো হল-মোহামেডান, মেরিনার্স, বাংলাদেশ স্পোর্টিং, ওয়ান্ডারার্স, অ্যাজাক্স, ওয়ারী, ভিক্টোরিয়া, কম্বাইন্ড, উত্তরা, রক্তিম সংঘ, মুক্ত বিহঙ্গ ও দিলকুশা স্পোর্টিং। এর মধ্যে মোহামেডান তো বলেছে, তাদের হকি অঙ্গন থেকে দূরে রাখতেই এ কৌশল নেওয়া হয়েছে। বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠনের দাবিও করেছে সাদা-কালো দলটি। আর হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির ভিন্ন বিবৃতিতে অনেকটাই নমনীয় সুর প্রকাশ পেয়েছে। কোষাধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ টিটুর স্বাক্ষরে আছে-খেলোয়াড়দের শাস্তি প্রত্যাহারের পাশাপাশি দেশের স্বার্থে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অনুশীলনে মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে! এছাড়া পাকিস্তানি কোচের সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে দুঃখ প্রকাশ করেছে খেলোয়াড়দের এ সংগঠন।
পাঁচ শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অবশ্য একজন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার বর্ষীয়ান খেলোয়াড় আশিকুজ্জামান নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত। কাল নিজেই লিখিতভাবে ফেডারেশনের সভাপতির কাছে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন।
Discussion about this post