বিদায়টা স্মরনীয় হল না গ্রায়েম স্মিথের। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল তাকে। বুধবার শেষ হল স্মিথ অধ্যায়। আর সেই স্মরনীয় বিদায়ী টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৫ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া। কেপটাউনের এই জয় দিয়ে ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচের সিরিজও জিতল অজিরা।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে ২৮১ রানে জিতে মাইকেল ক্লার্কের দল। এরপর পোর্ট এলিজাবেথে ২৩১ রানে জিতে প্রোটিয়ারা।
শেষ টেস্টে সবারই চোখ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের দিকে। কেননা এটি যে ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
এইতো ২০০২ সালে এই কেপটাউনেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় স্মিথের। ২০০৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সেই বাংলাদেশ সফরে তিনি দলের নেতৃত্ব পান। ক্রিকেট ইতিহাসে স্মিথ তৃতীয় কনিষ্ঠতম টেস্ট অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মোট ১১৬ টেস্ট খেলে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১০৮ টেস্টে। যেটা রেকর্ড। এছাড়া ২০০৫ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্ব একাদশেরও টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন স্মিথ। পেছনে ফেলেছেন সাবেক অজি অধিনায়ক অ্যালান বর্ডারকে। যিনি অস্ট্রেলিয়াকে ৯৩ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক টেস্ট জয়ের রেকর্ডও স্মিথের। তার অধিনে প্রোটিয়ারা জিতে ৫৩ টেস্ট, ড্র ২৭ এবং হারও ২৭ টেস্টে। পন্টিং অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন ৪৮ টেস্ট। স্মিথের অধিনায়কত্বেই দক্ষিন আফ্রিকা টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে পৌছায়।
স্মিথ এর আগে ২০১০ সালে ওয়ানডে থেকে বিদায় নেন। প্রোটিয়াদের ১৪৯ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন স্মিথ। জেতেন ৯২ ম্যাচে। হার ৫১টিতে। একটি টাই ও পাচটিতে কোনো ফল হয়নি। পাশাপাশি ২৭ টি টুয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ১৮ ম্যাচে। হার নয়টিতে। আপাতত ১১৭ টেস্টে স্মিথের রান ৯২৬২। গড় ৪৮.৭২। সেঞ্চুরি ২৭, হাফসেঞ্চুরি ৩৮।
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের ইতিহাস লিখতে গেলে অবশ্যই নিতে হবে স্মিথের নাম। মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই বলে দিলেন ‘গুডবাই!’
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া: ১ম ইনিংসে ৪৯৪/৭ ডিক্লে. (ক্লার্ক ১৬১*, ওয়ার্নার ১৩৫; ডুমিনি ৪/৭৩) ও ২য় ইনিংসে ৩০৩/৫ ডিক্লে. (ওয়ার্নার ১৪৫; অ্যাবট ৩/৬১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১ম ইনিংসে ২৮৭/১গ (প্লেসিস ৬৭; জনসন ৪/৪২) ও ২য় ইনিংসে ২৬৫/১০ (স্মিথ ৩, আমলা ৪১, ডি ভিলিয়ার্স ৪৩, অ্যাবট ৭, দু প্লেসি ৪৭, ডুমিনি ৪৩, ফিল্যান্ডার ৫১*; হ্যারিস ৪/৩২, জনসন ৩/৯২)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ২৪৫ রানে জয়ী
Discussion about this post