শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে দিন কয়েকের গৃহবন্দি জীবন শেষেই ফের মাঠে লিটন দাস। এছাড়া উপায়ও নেই, ঈদের পরই যে ঢাকায় আসছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। তাদের সঙ্গে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। যার প্রথমটি শুরু ২৩ মে। যেখানে ব্যাট হাতে যোগ্যতার পরিধিটা দেখাতে চান লিটন। সোমবার জানিয়ে রাখলেন তার লক্ষ্য স্মার্ট ক্রিকেট খেলা।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ এই সিরিজ। ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে এই লড়াইয়ের ফল গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল টাইগাররা। তবে মার্চে নিউজিল্যান্ড দল হোয়াইটওয়াশড হয়ে ফেরে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এবার লড়াই। তাই আশাবাদী লিটন। সোমবার অনুশীলনে এসে এই তারকা ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমরা সাদা বলের ক্রিকেটে অনেক ভালো। বিশেষ করে হোম কন্ডিশনে, হোম অব ক্রিকেটে যখন খেলি, আমরা অনেক ভালো দল। এখনকার যারা ক্রিকেটার আছে, সবাই পরিণত হচ্ছে আস্তে আস্তে এবং অনেকে পরিণত হয়ে গেছে। এখন যার যার ভূমিকা পালন করা গুরুত্বপূর্ণ। দলে যার যা ভূমিকা আছে, সবাই বাস্তবায়ন করতে পারলে, যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব। আমাদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে, খেলাটাকে নিজের করার জন্য সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে। তাহলে সফল হওয়ার ভালো সুযোগ থাকবে আমাদের।’
লিটন নিজেও তেমন ছন্দে নেই। রান নেই ব্যাটে। অথচ গত বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজেদুটি সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ম্যাচে ১০৫ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত। তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলেন ১৪৩ বলে ১৭৬ রান। এটিই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড। কিন্তু এরপরই পথ হারান তিনি।
৬ ওয়ানডে খেলে একটিতেও ২৫ ছুঁতে পারেননি। লিটন এবার পথ খুঁজে নিতে চান। বলেন, ‘নিজের খেলা এখন আগের চেয়ে ভালো বুঝি। নিয়মিত যে জিনিসটি আমি ধরে রাখি, এখন অনুশীলন করছি, সেটা হচ্ছে, সাদা বলের ক্রিকেটে যেহেতু ওপেন করি, নতুন বল আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ১০ ওভার যদি খেলে নিতে পারি, তারপর আমার জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায় এবং আমি বড় ইনিংস খেলতে পারি। আমাকে নতুন বলের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে এবং সেটাই করছি। নতুন কিছু নিয়ে কাজ করছি।’
৩ ম্যাচ ওয়ানডে খেলতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসবে ১৬ মে। ২৩ মে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডে ২৫ ও ২৮ মে। দিবা-রাত্রির প্রতিটি ম্যাচ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
Discussion about this post