শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যস্ততা। বৃহস্পতিবারই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দ্যেশে উড়াল দেয়ার কথা মুশফিকুর রহীমসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। সেখানেই বসছে নিউজিল্যান্ড সফরের আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। যাতে থাকছেন ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। তার আগে মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের। সেই সাক্ষাতকারের কিছু অংশ ক্রিকবিডি২৪-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
এই সফর নিয়ে কি বলবেন?
আমি শুরু থেকেই বলে আসছি আমাদের জন্য এই সফরটা বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। নিজেকে শো করার অনেক কিছু আছে। আমি মনে করি সকলেই আলাদা আলাদা পরিকল্পনা আছে। ভাল কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে যাচ্ছে সকলে। আমরা যদি সকলে নিজেদের পরিকল্পনায় সফল হতে পারি তাহলে দলীয় ভাবে ভাল কিছু হবে।’
আবার শুরু হল টাইগারদের ব্যস্ততা। কেমন লাগছে?
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর এটা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বিদেশ সফর। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ভাল খেলছে, বাইরে পারছে না। এটা তো আসলেই সত্যিই। ফিরতি সফরে যাচ্ছি অনেক দিন পর। আমরা ঘরের মাঠে অনেক গুলো সিরিজ খেলেছি। বাইরের সফরে শুরুতেই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর একটি বিষয় থাকে। আপনারা জানেন নিউজিল্যান্ড সিমিং কন্ডিশনে খেলা হয়। বিশ্বের অনেক বড় বড় তারকা দলও সেখানে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হয়। আমি মুখে যতোই বলি ভাল ক্রিকেট খেলবে, এটা বলে লাভ নেই। ওখানে গিয়ে ভাল না করতে পারলে বলে লাভ কি? কিন্তু চেস্টা করব ওখানে গিয়ে কন্ডিশনের সঙ্গে খাপখাইয়ে ভাল খেলার। আশা করছি সমস্যা হবে না। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবে।’
নিউজিল্যন্ডের কন্ডিশনে আপনার অভিজ্ঞতা ভাল আছে। এবার কি হবে?
সেটা ৬ বছর আগের একটি স্মৃতি। ৬ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। ওটা নিয়ে আমি ভাবছি না। ওটা নিয়ে ভাবতে গেলে হবে না। এখন নতুন করে নব শুরু করতে হবে।’
ইমরুল কায়েসের ব্যক্তিগত টার্গেট কি?
এটা আসলে নিজের কাছে। প্রতিটি সিরিজেই একজন ক্রিকেটার নিজের মতো করে ল্ক্ষ্য স্থির করে নেন। কেউ সফল হন আবার কেউ হন না। সবাই কিন্তু চেস্টা করেন ভাল করার। আমার চেস্টা থাকবে দলের জন্য ভাল কিছু করার। দলের জন্য খেলতে পারলে নিজের জন্যেও খেলা হয়ে যাবে।’
Discussion about this post