সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তাকে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন নির্বাচকরা। তিনিও বুঝে গিয়েছিলেন টেস্টে আর ফেরা হবে না। ঠিক এমন সময়ে চমক হিসেবেই তিনি উঠে আসেন দলে। এরপর হারারে টেস্টে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। বৃহস্পতিবার তুলে নিলেন শতরান। ১৬ মাস পর টেস্ট দলে ফিরে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্পিনার রয় কাইয়াকে পরপর দুই চারে ৯৫ থেকে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি।
ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট খেলতে নেমে পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি পেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। হারের টেস্টে একই দিন বিস্ময়ের জন্ম দিলেন তাসকিন আহমেদ। টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এটি তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেরও প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে বুধবার প্রথম দিনে দলকে বিপদ থেকে টেনে তুলেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগের দিন লিটন ফিরেন ৯৫ রানে। তবে রিয়াদ ঠিকই তুলেন শতক। অথচ এই সফরের জন্য প্রথমে ঘোষিত বাংলাদেশের ১৭ জনের দলে ছিল না তার নাম। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরের পর থেকেই তিনি ছিলেন টেস্ট দলের বাইরে। এরপর এবার ঘোষণার তিন দিন পর আচমকাই টেস্ট দলে দেখা যায় তার নাম।
তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের চোটে উঠে আসে তার নাম। এবার তো একাদশে জায়গা পেলেন অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে। দল যখন ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারায়, তখনই অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে তার ব্যাটে চমক। রিয়াদ আগের দিন ফিফটি করেন ১৩৩ বলে। পরের পঞ্চাশ করতে খেলেন ৬২ বল।
সত্যিকার অর্থেই টেস্টে নতুন জন্ম হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। এবার যদি দলে জায়গাটা পাকা হয় তার।
Discussion about this post