টেস্টের অভিজাত অঙ্গনে দেখতে ১৭ বছর হয়ে গেল বাংলাদেশের। এই সময়ে জয়ের চেয়ে হারই বেশি দেখেছে দল। কিন্তু গৌরব করার মতো অনেক কিছু যোগ হয়েছে নামের পাশে। এই যেমন গতকাল নতুন এক ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে প্রথমবারের মতো হারানোর আনন্দে মাতল গোটা জাতি।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ১০১টি টেস্ট ম্যাচ। এরমধ্যে ১০ জয়। সাফল্যে ভেসে যাওয়া সেই ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর চলুন চোখ রাখি-
এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
৬-১০ জানুয়ারি, ২০০৫; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে
বাংলাদেশ: ৪৮৮ (হাবিবুল ৯৪, রফিক ৬৯; পোফু ৪/১০৯) এবং ২০৪ (হাবিবুল ৫৫, রাজিন ২৬, চিগুম্বুরা ৫/৫৪)।
জিম্বাবুয়ে: ৩১২ (টাইবু ৯২, চিগুম্বুরা ৭১; রফিক ৫/৬৫, মাশরাফি ৩/৫৯) এবং ১৫৪ (মাসাকাদজা ৫৬, টেলর ৪৪; এনামুল ৬/৪৫)।
ফল: বাংলাদেশ ২২৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: এনামুল হক জুনিয়র।
…………..
সেন্ট ভিনসেন্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
(৯-১৩ জুলাই, ২০০৯; প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
বাংলাদেশ: ২৩৮ (মাশরাফি ৩৯, মুশফিক ৩৬; রোচ ৩/৪৬) এবং ৩৪৫ (তামিম ১২৮, জুনায়েদ ৭৮; স্যামি ৫/৭০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩০৭ (ফিলিপস ৯৪, মাহমুদউল্লাহ ৩/৫৯, রুবেল ৩/৭৬) এবং ১৮১ (বার্নার্ড ৫২*, মাহমুদউল্লাহ ৫/৫১, সাকিব ৩/৩৯)।
ফল: বাংলাদেশ ৯৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
…………..
সেন্ট জর্জ, গ্রেনাডা
(১৭-২০ জুলাই, ২০০৯; প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
বাংলাদেশ: ২৩২ (মুশফিক ৪৮, রকিবুল ৪৪, রোচ ৬/৪৮) এবং ২১৭/৬ (সাকিব ৯৬*, রকিবুল ৬৫, স্যামি ৫/৫৫)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৩৭ (ডাওলিন ৯৪, মাহমুদউল্লাহ ৩/৪৪, সাকিব ৩/৫৯) এবং ২০৯ (বার্নার্ড ৬৯, সাকিব ৫/৬৯)।
ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান।
…………..
হারারে স্পোর্টস ক্লাব, জিম্বাবুয়ে
(২৫-২৯ এপ্রিল, ২০১৩; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
বাংলাদেশ: ৩৯১ (সাকিব ৮১, নাসির ৭৭, মুশফিক ৬০; চিগুম্বুরা ৩/৭৫) এবং ২৯১/৯ (মুশফিক ৯৩, সাকিব ৫৯, নাসির ৬৭*; মাসাকাদজা ৪/৫৮)
জিম্বাবুয়ে: ২৮২ (চিগুম্বুরা ৮৬, রবিউল ৫/৮৫) এবং ২৫৭ (মাসাকাদজা ১১১*, জিয়াউর ৪/৬৩)।
ফল: বাংলাদেশ ১৪৩ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: রবিউল ইসলাম।
…………..
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর
(২৫-২৭ অক্টোবর, ২০১৪; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
জিম্বাবুয়ে: ২৪০ (রাজা ৫১; সাকিব ৬/৫৯) এবং ১১৪ (টেলর ৪২*; তাইজুল ৮/৩৯)।
বাংলাদেশ: ২৫৪ (মুশফিক ৬৪, মাহমুদউল্লাহ ৬৩; পানিয়াঙ্গারা ৫/৫৯) এবং ১০১/৭ (মাহমুদউল্লাহ ২৮, মুশফিক ২৩*; চিগুম্বুরা ৪/৪১)।
ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: তাইজুল ইসলাম।
…………..
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, খুলনা
(৩-৭ নভেম্বর, ২০১৪; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
বাংলাদেশ: ৪৩৩ (তামিম ১০৯, সাকিব ১৩৭, পানিয়াঙ্গারা ২/৪৯) এবং ২৪৮/৯ (মাহমুদউল্লাহ ৭১, শুভাগত ৫০; ওয়ালার ৪/৫৯)।
জিম্বাবুয়ে: ৩৬৮ (মাসাকাদজা ১৫৮, চাকাভা ১০১; সাকিব ৫/৮০, তাইজুল ৩/৯৬) এবং ১৫১ (মাসাকাদজা ৬১, সাকিব ৫/৪৪, তাইজুল ৩/৪৪)।
ফল: বাংলাদেশ ১৬২ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান।
…………..
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
(১২-১৬ নভেম্বর, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
বাংলাদেশ: ৫০৩ (ইমরুল ১৩০, তামিম ১০৯; রাজা ৩/১২৩) এবং ৩১৯/৫ (মুমিনুল ১৩১*; পানিয়াঙ্গারা ২/৩১)।
জিম্বাবুয়ে: ৩৭৪ (চিগুম্বুরা ৮৮, জুবায়ের ৫/৯৬) এবং ২৬২ (চাকাভা ৮৯, রুবেল ২/১৬, শফিউল ২/১৭)।
ফল: বাংলাদেশ ১৮৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মুমিনুল হক।
…………..
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর
(২৮ অক্টোবর-১ নভেম্বর, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড)
বাংলাদেশ: ২২০ (তামিম ১০৪, মুমিনুল ৬৬; মঈন ৫/৫৭) এবং ২৯৬ (ইমরুল ৭৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৭; রশিদ ৪/৫২)।
ইংল্যান্ড: ২৪৪ (রুট ৫৬, মিরাজ ৬/৮২, তাইজুল ৩/৬৫) এবং ১৬৪ (কুক ৫৯, ডাকেট ৫৬; মিরাজ ৬/৭৭, সাকিব ৪/৪৯)
ফল: বাংলাদেশ ১০৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মেহেদী হাসান মিরাজ।
…………..
পি সারা স্টেডিয়াম, কলম্বো
(১৫-১৯ মার্চ, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা)
বাংলাদেশ: ৪৬৭ (সাকিব ১১৬, সৌম্য ৬১, মোসাদ্দেক ৭৫; হেরাথ ৪/৮২, সান্দাকান ৪/১৪০) এবং ১৯১ (তামিম ৮২; হেরাথ ৩/৭৫)।
শ্রীলঙ্কা: ৩৩৮ (চান্দিমাল ১৩৮, মিরাজ ৩/৯০) এবং ৩১৯ (করুনারত্নে ১২৬, পেরেরা ৫০; সাকিব ৪/৭৪, মোস্তাফিজ ৩/৭৮)।
ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: তামিম ইকবাল।
…………..
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর
(২৭-৩০ আগষ্ট, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)
বাংলাদেশ: ২৬০ (তামিম ৭১, সাকিব ৮৪, মুশফিক ১৮, নাসির ২৩, মিরাজ ১৮, শফিউল ১৩; কামিন্স ৩/৬৩, লায়ন ৩/৭৯, অ্যাগার ৩/৪৬) এবং ২২১ (তামিম ৭৮, সৌম্য ১৫, মুশফিক ৪১, সাব্বির ২২, মিরাজ ২৬; লায়ন ৬/৮২, অ্যাগার ২/৫৫, কামিন্স ১/৩৮)
অস্ট্রেলিয়া: ২১৭ (রেনশ ৪৫, হ্যান্ডসকম্ব ৩৩, অ্যাগার ৪১*; মিরাজ ৩/৬২, সাকিব ৫/৬৮, তাইজুল ১/৩২) এবং ২৪৪ (ওয়ার্নার ১১২, স্মিথ ৩৭, হ্যান্ডসকম্ব ১৫; মিরাজ ২/১৯, সাকিব ৫/৮৫ , তাইজুল ৩/৬০)
ফল: বাংলাদেশ ২০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান।
Discussion about this post