ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শেষ পর্যন্ত যদি সময় মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়, তারপরও অনেকগুলো বাঁধার সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালকদের। একসাথে টিমকে নিতে হবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। তবে কাজটা মোটেও ঠিকঠাক হবে না। এছাড়া বাংলাদেশ দলের স্পন্স পেতেও বেগ পেতে হবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি জাতীয় দল, ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং নারী ক্রিকেট দলের স্পন্সরের দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। তিন দফা দরপত্রের সময় বাড়ানো হলেও বিসিবির ডাকে এখন পর্যন্ত কেউ সাড়া দেয়নি। দর্শক শূন্য মাঠে বিশ্বকাপ হলে স্পন্সরেরা মুখ ফিরিয়ে নেবে এটাই স্বাভাবিক।
বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে মূল আসরে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম রাউন্ডে বি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ড। এ গ্রুপে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি ও শ্রীলঙ্কা। দুই গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল যাবে পরের রাউন্ডে। ১৯, ২১ ও ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের খেলার সূচি রয়েছে। এইসব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় তুলে নিতে তেমন অসুবিধা হবার কথা নয়। কিন্তু দূর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ হারার রেকর্ড বাংলাদেশের ঝুলিতে রয়েছে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ক্যানাডার বিপক্ষে ৬০ রানের পরাজয় এখনো ক্রিকেট ভক্তদের মনে দাগ কেটে আছে। লকডাউনে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের তিনটি সিরিজ স্থগিত হয়েছে। মাঠে খেলা গড়ালে স্থগিত সিরিজগুলো দ্রুত সময়ে খেলতে হতে পারে বাংলাদেশকে। তৈরি করা হবে নতুন এফটিপি। এজন্য পর্যাপ্ত খেলোয়াড় তৈরি রাখার পরিকল্পনা প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর। তিনি বলেন, ‘ছেলেরা মাঠে ফিরলে অবশ্যই টানা খেলার প্রস্তুতি থাকতে হবে। এজন্য তাদের ফিটনেসকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমরা চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব খেলোয়াড় প্রস্তুত রাখা। যদি কোনো সিরিজ দ্রুত সময়েও আয়োজন করা হয় আমরা যেন খেলোয়াড় প্রোভাইড করতে পারি সেদিকটি নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরকে।’
Discussion about this post