ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দুই ম্যাচ আগে অসাধারণ ইনিংস খেললেও সৌম্য সরকার ম্যাচ জেতাতে পারেনি। তবে মঙ্গলবার আর ভুল করেননি তিনি। এ বাঁহাতি ৩০ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটের জয়। আর তাতে সাবেক বাংলাদেশ প্রিমিযার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়নদের টিকে রয়েছে প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে কুমিল্লার জয়ে ব্যাট হাতে দারুণ অবদান রাখেন অধিনায়ক ডেভিড মালান। ইংল্যান্ডের এ তারকা করেন ৪৯ বলে ৫৮ রান। সে হিসেবে তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
টস জিতে মঙ্গলবার বল হাতে নিয়ে সিলেটকে ১৪১ রানে আটেকে রাখে কুমিল্লা। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও মালান-সৌম্যর চতুর্থ উইকেট জুটির দৃঢতায় সহজেই ৫ বল হাতে রেখে জিতে ফেরে দলটি। এদিকে হার দিয়েই বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ হয়েছে সিলেটের। ১২ ম্যাচে কেবল একটি জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে আসর শেষ করল দলটি। বিপিএলের ইতিহাসে কোনো দলের এটাই সবচেয়ে বাজে ফল
মঙ্গলবার বল হাতে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ফ্লেচারকে তুলে নেয় কুমিল্লা। যদিও চার্লস বেশ চোখ রাঙানি দিয়েছিল। তবে তাকে বেশিদূর যেতে দেননি আল আমিন হোসেন। এরপর দ্রুত মিথুনও ফিরে যান। মজিদও পারেননি রানের গতিতে দম দিতে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে এ ওপেনার করেন কেবল ৪০ বলে ৪৫ রান। শেষের দিকে ১১ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে রানের গতি কিছুটা বাড়ান মেন্ডিস।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় মঙ্গলবার কুমিল্লার শুরুটা ছিল বাজে। অফ স্পিনার নাইম হাসানের দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন ফারদিন হাসান। পরের ওভারে তার স্বপ্নের এক ডেলিভারিতে উপুল থারাঙ্গা হন বোল্ড। তবে দলকে বিপদে পড়তে দেননি মালান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সৌম্য। মাঝে অবশ্য নাঈমকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে একই চেষ্টা করতে গিয়ে থামেন কিপার-ব্যাটসম্যান মাহিদুল।
শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হন সৌম্য। প্রথম ৩৪ বলে ২৫ রান করা মালানও পরে শট খেলা শুরু করেন। ৩৫তম বলে পান প্রথম বাউন্ডারির দেখা। পরে দেলোয়ার হোসেনকে হাঁকান পরপর দুই ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে দুটি করে ছয় ও চারে ৫৮ রান করা মালানকে ফিরিয়ে ৭২ রানের জুটি ভাঙেন ইবাদত হোসেন। একটি করে ছয় ও ১৩ রান করে বিদায় নেন ডেভিড ভিসা।
মালান ও ভিসা দ্রুত ফিরলেও সৌম্য ছিলেন এক প্রান্তে নিজের মতো। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে ঝড় তুলে কুমিল্লার জয় এনে দেন তিনি। তার ৩০ বলের দারুণ ইনিংসটিতে ছিল দুই ছয় ও ছয়টি চারের মার।
ঝড়ো ইনিংস খেললেও ম্যাচ সেরা হতে পারেননি সৌম্য। এ পুরস্কারটি তিনি হারিয়েছেন মালানের কাছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৪১/৫ (ফ্লেচার ২২, মজিদ ৪৫, চার্লস ২৬, মিথুন ১৮, মেন্ডিস ২৩, মিলন ২*, সোহাগ ২*; সানজামুল ৩-০-৩০-০, আবু হায়দার ৩-০-১৮-০, মুজিব ৪-০-২৩-১, আল আমিন ৪-০-৩০-২, সৌম্য ২-০-৭-০, ভিসা ৪-০-৩১-২)
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৯.১ ওভারে ১৪২/১ (থারান্দা ৪, ফারদিন ১, মালান ৫৮, মাহিদুল ১১, সৌম্য ৫৩*, ভিসা ১৩, ইয়াসির ০*; ইবাদত ৪-০-২৬-১, নাঈ, ৪-০-২১-৩, সোহাগ ৪-০১৬-০, দেলোয়ার ৩-০-৩৫-০, চার্লস ৩.১-০-৩৪-১, অপু ১-০-৯-০)
ফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ডেভিড মালান
Discussion about this post