ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শুরু থেকে শেষটা আন্দাজ করার উপায় ছিল না। দলের সংগ্রহে কোন রান জমা না হতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন ওপেনার লিটন দাস। সেই ম্যাচটাই শেষ পর্যন্ত একেবারে অনায়াসে জিতল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শুক্রবার ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ২৮৭ রানের টার্গেটে নেমে ৪৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পা রাাখে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ মানে বাংলাওয়াশ করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আর সেই জয়ের পথটা তৈরি করে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস এবং দলে হঠাৎ ডাক পাওয়া সৌম্য সরকার। দু’জন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গড়লেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড স্কোর। ২২০ রান যোগ করেন তারা। এরপর অনায়াসেই ধরা দেয় জয়!
সত্যিকার অর্থেই ইমরুল কায়েস স্বপ্নের মতো ক্রিকেট খেলছেন। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েন এই ওপেনার। তামিম ইকবালর রেকর্ড ভাঙেন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক সিরিজে দুই সেঞ্চুরি আর এক ফিফটিতে ৩১২ রান তুলেন তামিম।
সৌম্য সরকার তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান সৌম্য সরকার। তার ৯২ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা। আর জুটি থামে ২২০ রানে।
ইমরুল ফিরেন ১১৫ রানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১৪৪ রান। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে ৯০। শেষ ম্যাচে শুক্রবার ১১৫। সবমিলিয়ে ৩৪৯। এক সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বােচ্চ। ৩ ম্যাচের সিরিজে তার চেয়ে বেশি রান রয়েছে বাবর আজমের। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬০ রান তুলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান।
এর আগে জিম্বাবুয়ে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান। শন উইলিয়ামস খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ব্রেন্ডন টেইলরের ফিফটিতে এই পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। উইলিয়ামস অপরাজিত ছিলেন ১২৯ রানে। ১৪৩ বলের ইনিংসে আছে ১০ চার ও এক ছক্কা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ১০২ রানকে ছাড়িয়ে যান উইলিয়ামস
টাইগার স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ৫৮ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট। দুই পেসার আবু হায়দার ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট পেয়েছেন।এদিন ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে অলরাউন্ডার আরিফুল হকের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৮৬/৫ (মাসাকাদজা ২, জুয়াও ০, টেইলর ৭৫, উইলিয়ামস ১২৯*, রাজা ৪০, মুর ২৮, চিগুম্বুরা ১*; আবু হায়দার ১/৩৯, সাইফ ১/৫১, আরিফুল ০/১৭, মাশরাফি ০/৫৬, সৌম্য ০/১৬, নাজমুল ২/৫৮, মাহমুদউল্লাহ ০/৪০)।
বাংলাদেশ: ৪২.১ ওভারে ২৮৮/৩ (লিটন ০, ইমরুল ১১৫, সৌম্য ১১৭, মুশফিক ২৮*, মিঠুন ৭*; জার্ভিস ১/৪৭, এনগারাভা ০/৪৪, টিরিপানো ০/৩৩, রাজা ০/৪৭, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১/৭১, উইলিয়ামস ০/৪৩, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১/৩)
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: সৌম্য সরকার
সিরিজসেরা: ইমরুল কায়েস
Discussion about this post