ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গেমস ক্রিকেট বরাবরই অবহেলিত। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক বলে পরিচিত এস এ গেমসে ঠিক থাকছে ক্রিকেট। ১
ডিসেম্বরে নেপালে শুরু হয়েছে এই আসর। সেই মিশনে নামছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
নেপালের কাঠমান্ডু-পোখারায় ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নেবে বাংলাদেশ।
এসএ গেমসে আট বছর পর রাখা হয়েছে ক্রিকেট। সবশেষ ২০১০ সালে ঘরের মাঠের আসরে ক্রিকেটে সোনার পদক জিতেছিল বাংলাদেশ। এ অবস্থায় দলের ম্যানেজার হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, এবারও দলের লক্ষ্য সর্বোচ্চ সাফল্য। টুর্নামেন্টে নেই শক্তিশালী দুই দল ভারত ও পাকিস্তান। জানান, ‘দেখুন, কে আছে, কে নেই-এটা দেখে কিন্তু আমরা দল বানাইনি। ইমার্জিং দল থেকেই কিছুটা পরিবর্তন এনে দল বানানো হয়েছে। যেহেতু ইমার্জিং দলের সামনে সুযোগ এসেছে আরেকটা টুর্নামেন্ট খেলার, সেই সুযোগ নিতে চেয়েছি আমরা।’
দেশ ছাড়ার আগে সুমন আরও বলেন, ‘লড়াইটা চ্যালেঞ্জিং তো অবশ্যই। তবে ছেলেদের দল বলি বা মেয়েদের দল, আমাদের লক্ষ্য একই-স্বর্ণ জেতা। ভারত-পাকিস্তান নেই, শ্রীলঙ্কা দল আছে। কন্ডিশনটা একদম অপরিচিত। চ্যালেঞ্জ তাই অবশ্যই থাকবে। তবে আমরা আশাবাদী। এই দলটা যেহেতু একসাথে অনেক দিন ধরে খেলছে, আশা করি ভালো কিছু নিয়েই ফিরতে পারবে।’
অনূর্ধ্ব-২৩ দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। তবে এর বাইরে তিন জনকে নেওয়ার সুযোগ থাকে। সেই সুযোগেই দলে আছেন জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার। বাশার বলেন, ‘এই দলটা অনেক দিন ধরে খেলছে একসাথে, ইমার্জিং কাপের দলেও সৌম্য ছিল। ও থাকলে বাকি ক্রিকেটারদের একটু গাইড করতে পারে, আর ওর অভিজ্ঞতাও ভাগাভাগি করতে পারে। নাঈম শেখ, আফিফ আছে, ওরা জাতীয় দলে কিছু ম্যাচ খেলেছে। সৌম্যর অভিজ্ঞতা হয়তো ওদের কাজে লাগবে।’
এস এ গেমসে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠৈ নামবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আর পুরুষ দলের প্রথম ম্যাচ বুধবার মালদ্বীপের বিপক্ষে। নারীদের ফাইনাল ৮ ডিসেম্বর। ৯ ডিসেম্বর পুরুষদের ফাইনাল।
Discussion about this post