ফিফা র্যাঙ্কিং মানেই এক নম্বরে ব্রাজিল। এটা যেন একসময় নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিলের সেই জায়গা দখল করে নেয় স্পেন। অন্যদিকে নিচের দিকেই নামতে থাকে এক সময়ের পরাক্রমশালী ব্রাজিল। গত এক বছরে তো সেরা দশের মধ্যে থাকাই সম্ভব হয়নি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। সবচেয়ে বড় অধঃপতনটা হয় কিছুদিন আগে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২২ নম্বরে নেমে যেতে হয় তাদের। ১৯৯২ সালে র্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পর এটাই ছিল ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় অবনমন। সেই জোগো বোনিতোরা ফের শীর্ষ দশে ফিরে এসেছে ফিফার সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে। কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হারলেও এক নম্বরেই রয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। ১৩৮ নম্বর র্যাঙ্কিং নিয়ে কনফেডারেশন কাপ খেলতে এসেছিল তাহিতি। তিন ম্যাচে ১২ গোল খেয়ে ১৬ ধাপ অবনমন হয়েছে তাদের। তাহিতির স্থান হয়েছে ১৫৪ তে।
ব্রাজিলকে সঠিক পথ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় চাকরি হারাতে হয় মানো মেনেজেসের। এরপর ফিরিয়ে আনা হয় ব্রাজিলকে ২০০২ বিশ্বকাপ জেতানো কোচ লুই ফেলিপ স্কলারিকে। কিন্তু শুরুটা তারও ভালো ছিল না। প্রথম দিকে একদমই নিজেদের সেরাটা খেলতে পারছিল না ব্রাজিল। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পর প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল এবং কেউ কেউ পদত্যাগও চেয়ে বসেছিলেন কোচের। কিন্তু সেই স্কলারির হাত ধরেই সাম্বা নৃত্যের দেশ পেল সাফল্য, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে জিতল কনফেডারেশন কাপ। এ টুর্নামেন্টে সেই ঐতিহ্যবাহী ব্রাজিলকেই খুঁজে পাওয়া গেল।
দেশের মাটিতে প্রীতি ম্যাচে ফ্রান্সকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেই যে শুরু; এরপর কনফেডারেশন কাপের ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্রাজিলকে দেখল ফুটবলবিশ্ব। প্রীতি ম্যাচ হলেও ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচটাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ওই জয়টাই আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা করে দিয়েছে দলের। যার প্রতিফলন ঘটেছে কনফেডারেশন কাপে। জাপান, মেক্সিকো, ইতালি, উরুগুয়ে এবং স্পেনের সঙ্গে একই ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে স্কলারির দল। গত এক মাসে চার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়েছে তারা। স্পেনকে হারিয়ে কনফেডারেশন কাপ জয়কে নতুন করে বিশ্ব ফুটবলে ব্রাজিল যুগের সূচনাও মনে করছেন অনেকে।
এদিকে গত এক মাসে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। তাই আগের অবস্থানেই রয়েছে দেশটি। বাংলাদেশের স্থান ১৫২ নম্বরে।
র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০
দেশ র্যাঙ্কিং
স্পেন ১
জার্মানি ২
কলম্বিয়া ৩
আর্জেন্টিনা ৪
নেদারল্যান্ডস ৫
ইতালি ৬
পর্তুগাল ৭
ক্রোয়েশিয়া ৮
ব্রাজিল ৯
বেলজিয়াম ১০
Discussion about this post