আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বর্তমান আসর শুরু হয়েছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। গ্রুপ পর্বের প্রতিটি দল ৩টি করে ম্যাচ খেলবে, যার মধ্যে সেরা দুই দল সেমিফাইনালে উঠবে। বাংলাদেশ দল তাদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হারলেও এখনই সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি। বাকি দুই ম্যাচের ফলাফল ও রান রেটের সমীকরণে এখনও সম্ভাবনা আছে টাইগারদের।
গ্রুপ ‘এ’-এর বর্তমান অবস্থা
দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রান তুলে হারার পর বাংলাদেশ গ্রুপ ‘এ’-তে তৃতীয় স্থানে আছে। পয়েন্ট টেবিলে নিউজিল্যান্ড ও ভারত ২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, অন্যদিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান শূন্য পয়েন্টে। তবে রান রেটের হিসাবে বাংলাদেশ (-০.৪০৮) পাকিস্তানের (-১.২০০) চেয়ে এগিয়ে।
দল ম্যাচ জয় হার পয়েন্ট রান রেট
১ নিউজিল্যান্ড ১ ১ ০ ২ +১.২০০
২ ভারত ১ ১ ০ ২ +০.৪০৮
৩ বাংলাদেশ ১ ০ ১ ০ -০.৪০৮
৪ পাকিস্তান ১ ০ ১ ০ -১.২০০
বাংলাদেশের সামনে বাকি দুটি ম্যাচ
২৪ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ (রাওয়ালপিন্ডি)
২৭ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ (রাওয়ালপিন্ডি)
১. উভয় ম্যাচে জয় (৪ পয়েন্ট)
দুই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৪। তবে নিউজিল্যান্ড ও ভারতও যদি তাদের বাকি ম্যাচে জিতে ৪ পয়েন্টে পৌঁছায়, তাহলে রান রেটের ভিত্তিতে সেমিফাইনালিস্ট নির্ধারিত হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করতে হবে।
২. এক ম্যাচে জয় (২ পয়েন্ট)
# নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার + পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়
পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হবে। পাকিস্তান যদি ভারতের কাছে হারে, তবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাড়বে।
#নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় + পাকিস্তানের বিপক্ষে হার
নিউজিল্যান্ডের ইতিমধ্যে ২ পয়েন্ট থাকায় বাংলাদেশকে রান রেটের দৌড়ে জিততে হবে।
৩. উভয় ম্যাচে হার (০ পয়েন্ট)
দুই ম্যাচে পরাজয় মানে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়।
৪. পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের প্রভাব
২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের ফল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাকিস্তানের জয়: ভারতের পয়েন্ট ২-এ স্থবির হলে বাংলাদেশের পথ সহজ হবে না।
ভারতের জয়: পাকিস্তানের পয়েন্ট শূন্য থাকলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক।
Discussion about this post