সিরিজটাই শুধু বদলেছে। কিন্তু মিচেল জনসন আছেন আগের মতোই, বিধ্বংসী!তাইতো ইংল্যান্ডের পর এবার তার হাতে বধ দক্ষিণ আফ্রিকাও। সিরিজের প্রথম টেস্টে তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে এক দিন আগেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অজিরা পেল ২৮১ রানের অনায়াস জয়। তাতেই তিন টেস্টের সিরিজে মাইকেল ক্লার্কের দল ১-০তে এগিয়ে গেল।
শনিবার ৪৮২ রানের টার্গেট সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে কিছুই করা হল না দক্ষিণ আফ্রিকানদের। আসলে জনসনের সামনে অসহায় ছিলেন ব্যাটসম্যানরা। ৫৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচসেরা।
২০ ফেব্রুয়ারি পোর্ট এলিজাবেথে শুরু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া: ১ম ইনিংসে ৩৯৭/১০ (মার্শ ১৪৮, স্মিথ ১০০; স্টেইন ৪/৭৮) ও ২য় ইনিংসে ২৯০/৪ (ওয়ার্নার ১১৫, ডুলান ৮৯, মার্শ ৪৪; স্টেইন ২/৬১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১ম ইনিংসে ২০৬/১০ (ডি ভিলিয়ার্স ৯১; জনসন ৭/৬৮) ও ২য় ইনিংসে ২০০/১০ (আমলা ৩৫, ভিলিয়ার্স ৪৮; জনসন ৫/৫৯)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ২৮১ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: মিচেল জনসন।
##################################################
সেঞ্চুরিয়ানেও দাপট অজিদের
অ্যাশেজ যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেন শুরু করলেন মিচেল জনসন। তার দুর্দান্ত বোলিং দেখা মিলল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও। সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের দারুণ ব্যাটিং। সব মিলিয়ে সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের ১ম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াই এগিয়ে।
এ অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুক্রবার তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৮। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের লিড পেয়েছিল তারা। আর সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৪৭৯ রানে এগিয়ে সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া: ১ম ইনিংসে ৩৯৭/১০ (মার্শ ১৪৮, স্মিথ ১০০; স্টেইন ৪/৭৮) ও ২য় ইনিংসে ২৮৮/৩ (রজার্স ১, ওয়ার্নার ১১৫, ডুলান ৮৯, মার্শ ৪৪*, ক্লার্ক ১৭*; ডুমিনি ১/১২, স্টেইন ১/৬০, পিটারসন ১/৮৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১ম ইনিংসে ২০৬/১০ (স্মিথ ১০, আলভিরো ২, আমলা ১৭, দু প্লেসি ৩, ডি ভিলিয়ার্স ৯১, ডুমিনি ২৫; জনসন ৭/৬৮)।
Discussion about this post