ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
পাকিস্তানে টেস্ট মিশনের আগে কোন প্রস্তুতি পর্ব ছিল না বাংলাদেশ দলের। এ কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডের ম্যাচটাকেই প্রস্তুতি পর্ব হয়ে উঠে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে সাফল্য পেলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। মঙ্গলবার দেশ ছাড়বে দল। তার আগে ব্যাটে-বলে মিলেছে সাফল্য।
বিসিএলে তামিম ইকবাল করেছেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। এই ওপেনার খেলেছেন রেকর্ড গড়া ৩৩৪ রানের ইনিংস। একইসঙ্গে শতরান পেয়েছেন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সোমবার সেঞ্চুরি করলেন লিটন দাস। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাক পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কথা বলল তার ব্যাট। তার অপরাজিত শতরানেই দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচায় উত্তরাঞ্চল।
চট্টগ্রামের চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিসিএলে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে শেষ দিনে জিততে ৪৩২ রান চাই উত্তরাঞ্চলের। হাতে ছিল ১০ উইকেট। কিন্তু ৪ উইকেটে তারা ২৭৮ রান করতেই ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
ম্যাচে লিটন দাস অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। ৪৫৪ রানের মিশন ইমপসিবল টার্গেটের সামনে বিনা উইকেটে ২২ রানে দিন শুরু করে উত্তরাঞ্চল। তৃতীয় উইকেটে জুনায়েদ সিদ্দিকের সঙ্গে ১২৫ রানের জুটি গড়েন লিটন।
লড়াই করে ১২৭ বলে ৬১ রান করে আউট জুনায়েদ। অধিনায়ক নাঈম ইসলামের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৭৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। ৭২ বলে ৪৩ রানে ফেরেন নাঈম। ২২৮ মিনিট ক্রিজে থেকে লিটন ১৬৮ বল খেলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০৩ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার ১৫তম শতক। এদিনই ৫ হাজার রান ক্লাবে পা রাখেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৬২/১০
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২০৭/১০
দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৩৯৮/৩ ইনিংস ঘোষণা
উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৪৫৪) ৮১ ওভারে ২৭৮/৪ (আগের দিন ৬ ওভারে ২২/০) (মিজানুর ২৯, রনি ৭২, জুনায়েদ ৬১, লিটন ১০৩*, নাঈম ৪৩, তানবীর ১*; শফিউল ১১-০-৫৭-০, আল আমিন হোসেন ১৪-৪-৩৯-১, রাজ্জাক ২৩-৪-৬৬-২, রাব্বি ৯-১-২৮-০, মাহমুদউল্লাহ ৪-১-১৫-১, ফজলে মাহমুদ ১১-০-৪৫-০, আল-আমিন ৯-১-২৬-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যাচসেরা: শফিউল ইসলাম
Discussion about this post