ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগের টিকিট নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। দশম রাউন্ডে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ১৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। অন্যদিকে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স বনাম পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব
মিরপুরের শের-এ বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ তুলে তোলে ৩০২ রানের বিশাল স্কোর। ইনিংসের মূল স্তম্ভ ছিলেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়, যিনি করেন ৭৮ রান। শামীম মিয়া করেন ৫৩ রান, আর ইনিংসের শেষ দিকে সাব্বির হোসেনের ঝড়ো ৬৪ রানে চাপে পড়ে পারটেক্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে একেবারে ভেঙে পড়ে পারটেক্সের ব্যাটিং লাইনআপ। একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটার আদিল কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও বাকিদের কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানেই ৯ উইকেট হারায় দলটি, আর শেষ ব্যাটার মাঠে নামতেই পারেননি। এতে ১৭০ রানের বড় জয় পায় গাজী গ্রুপ।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ৭টি জয় ও ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে গাজী গ্রুপ, আর নিশ্চিত করেছে সুপার লিগে খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ: ৩০২/৭ (এনামুল ৭৮, সাব্বির ৬৪*)
পারটেক্স: ১৩২/৯ (আদিল ৩১)
ফল: গাজী গ্রুপ জয়ী ১৭০ রানে
রূপগঞ্জ টাইগার্স বনাম ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব
বিকেএসপিতে দিনের অন্য ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের মুখোমুখি হয় ধানমন্ডি। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জ নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ২৮০ রান। দলের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান নাসির হোসাইনের ৭৭ ও আসাদুল্লাহ আল গালিবের ৬৫ রানের ইনিংস।
তবে এই রান যথেষ্ট ছিল না। ধানমন্ডির অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৯৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন, আর তাকে সঙ্গ দেন ইয়াসির আলী রাব্বি, যিনি অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। শেষ পর্যন্ত ধানমন্ডি জয় তুলে নেয় ১৭ বল হাতে রেখেই।
যদিও দুই দলই আগেই সুপার লিগের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছিল, তবে চার ম্যাচ পর ধানমন্ডির এই জয় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রূপগঞ্জ টাইগার্স: ২৮০/৭ (নাসির ৭৭, গালিব ৬৫)
ধানমন্ডি: ২৮৩/৫ (সোহান ৯৭, রাব্বি ৫৫*)
ফল: ধানমন্ডি জয়ী ৫ উইকেটে
Discussion about this post