৮ উইকেট নেই দলের ১০০ রানের আগেই। এ অবস্থায় মনে হচ্ছিল বড় জয় পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়েলিংটন মাসাকদজা-ফারাজ আকরাম পাল্টে দিলেন সমীকরণ। লড়ল জিম্বাবুয়ে। দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের দুর্বলতা। ৬ বলে যখন ২১ রান প্রয়োজন তখন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এসে প্রথম বলে মাসাকাদজাকে বোল্ড করেন। শেষ পর্যন্ত ১১ রানের বেশি নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৯ রানের জয়ে সম্মান বাঁচল বাংলাদেশের। আসলেই তাই। আরেকটু হলে হেরেই যেতে পারতো দল।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে। জবাবে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ৫ টি-টোয়েন্টির সিরিজে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয়।
নবম উইকেটে ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটিতে স্বাগতিক শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেন মাসাকাদজা-ফারাজ। ১৩ রানে মাসাকাদজার আউটে ভাঙে জুটি। ফারাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩৪ রানে।
সিরিজ জয়ের পর ঢাকায় ফিরছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। শুক্র ও রোববার সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরের শেরেবাংলায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (হৃদয় ৫৭, জাকের ৪৪, তানজিদ ২১, লিটন ১২, মাহমুদউল্লাহ ৯*, রিশাদ ৬*, নাজমুল ৬; মুজারাবানি ৩/১৪, রাজা ১/৩৮, আকরাম ১/৪৪)।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫৬/৯ (আকরাম ৩৪*, মারুমানি ৩১, ক্যাম্পবেল ২১, মাসাকাদজা ১৩, মাদান্দে ১১, মুজারাবানি ৯*, গাম্বিন ৯, আরভিন ৭, বেনেট ৫, জঙ্গুয়ে ২, রাজা ১; সাইফউদ্দিন ৩/৪২, রিশাদ ২/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ১/১, তাসকিন ১/২১, তানভীর ১/২৬, তানজিম ১/২৬)।
ফল: বাংলাদেশ ৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: তাওহিদ হৃদয়।
Discussion about this post