নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে চান তিনি। কথা বলার মঞ্চে শুধু শুনতে চান না সাকিব আল হাসান। আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ঐ সভায় সক্রিয় থাকতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কথা বলতে প্রস্তুত তিনি। ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির প্রথম সভা হবে সিডনিতে। এরইমধ্যে সভার এজেন্ডাগুলো হাতে পেয়েছেন সাকিব। এখন চলছে মনোযোগি ছাত্রের মত পড়াশুনা। মনে মনে আবারও তিনি ঠিকও করছেন নিজের মতামত।
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সম্মানজনক এমসিসি ক্রিকেট কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন সাকিব। এমন প্রাপ্তিতে সম্মানিত তিনি। ঐ কমিটিতে তিনি ছাড়াও রয়েছেন রডনি মার্শ, সৌরভ গাঙ্গুলি, রিকি পন্টিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, কুমার সাঙ্গাকারা, টিম মে, রমিজ রাজার মত সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। সভায় যোগ দিতে ৭ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন সাকিব।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমে নিজের অভিব্যক্তি জানান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বলছিলেন, ‘আমি ওখানে গিয়ে স্রেফ দর্শক হয়ে বসে থাকতে চাই না। অবদান রাখতে চাই। যে কয় বছর কমিটিতে থাকব, পুরোটাতেই সক্রিয় থাকতে চাই। সেভাবেই ভাবছি, প্রস্তুতি নিচ্ছি। পার্থক্য গড়ার মত কিছু বলতে বা করতে না পারলে তো সভায় গিয়ে লাভ নেই।’
সভার এজেন্ডা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘সভার এজেন্ডাগুলো ওরা পাঠিয়ে দিয়েছে। অনেক কাগজপত্র। সেগুলো দেখছি। নিজের মতামত যা থাকবে, সেসব নিয়ে ভাবছি। প্লেনে ওঠার পর ফাইনাল টাচ দেব। লম্বা ফ্লাইটে শেষের সবটুকু গুছিয়ে নেব।’
এমসিসি ক্রিকেট কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০৬ সালে। কমিটিতে থাকেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়াররা। প্রতি বছর দুই বার করে সভা হয় এই কমিটির। বর্তমান এ কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং।
কমিটিতে আছেন যারা
মাইক গ্যাটিং (চেয়ারম্যান), ভিঞ্চ ভন ডার ভিজল, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ইয়ান বিশপ, রমিজ রাজা, জন স্টিফেনসন, কুমার সাঙ্গাকারা, কুমার ধর্মাসেনা, সৌরভ গাঙ্গুলি, রড মার্শ, রিকি পন্টিং, সুইজ বেটস, টিম মে এবং সাকিব আল হাসান।
Discussion about this post