প্রকাশ্যেই চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। টিভি বিতর্কে নাজমুল হাসান পাপনকে অংশগ্রহনের জন্য আহবান জানিয়েছিলেন তিনি। সাবের চৌধুরীর ব্যাখাটা ছিল-‘অনেক বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে হয়তো মত পার্থক্য রয়েছে। উনি একটা বলছেন। জবাবে আমিও আরেকটা বলছি। তাই আমার মনে হয় সরাসরি টিভি বিতর্কে আমরা মুখোমুখি হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।’
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা ও অভিযোগ প্রসঙ্গে সম্প্রতি সাবের হোসেন চৌধুরী তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান পাপনের প্রতি এই টিভি বিতর্কে অংশগ্রহনের জন্য আহবান জানান।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কাল সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করলেন। জানালেন-‘আমি প্রস্তুত। বিসিবির নির্বাচন নিয়ে আমি যে কারো প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি।’ কাল নাজমুল হাসান পাপন বিসিবিতে সাংবাদিকদের এই প্রসঙ্গে বলছিলেন-‘আমি টিভি বিতর্কের বিষয়টা শুনেছি। তবে তিনি যখন এটা বলেছেন তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম তখন। উনি একটি টিভি চ্যানেলে বলেছেন, আমাকে নাকি বিতর্কে অংশগ্রহনের দাওয়াত দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমার জানা নেই কেউ আমাকে দাওয়াত দিয়েছে কিনা। আর সে সময় আমি দেশেই ছিলাম না। দেশে না থাকলে আমি কিভাবে অ্যাটেন্ড করবো এটা আমি জানি না। তবে এ কথা শুনার পরে আজ থেকে তিন চার দিন আগে উনার সঙ্গে (বিমানবন্দরে) আমার দেখা হয়েছিল। আমি উনাকে পরিস্কার বলেছি যে কোনো দিন, যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায় উনার সঙ্গে আমি ওয়ান টু ওয়ান বসতে চাই, সবাইকে নিয়ে নয়। তবে অবশ্যই সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকতে হবে। উনাকে বলেছি কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি বিতর্কে বসতে চাইলে বসতে পারেন। আমি শুধু আপনার সঙ্গেই বসতে চাই। বোর্ড, গঠনতন্ত্র নিয়ে যে প্রশ্ন করুন আপনাকে আমি উত্তর দেব।’
বিসিবির নির্বাচন প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান জানান-‘ কোরবানীর ঈদের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৭/৮ দিনের মধ্যেই কাউন্সিলরদের তালিকা চেয়ে পাঠানোর চিঠি ছাড়া হবে।’
Discussion about this post