শেষমেষ নিরবতা ভাঙ্গলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। জানালেন-‘হ্যাঁ, আমি আছি। বিসিবির নির্বাচনে আমি লড়বো।’
কাল রাজধানীতে পরীবাগে নিজের বাসায় আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাবের হোসেন চৌধুরী বিসিবির নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলেন।
বিসিবির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির বিভিন্ন কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনা করে সাবের হোসেন চৌধুরী সম্প্রতি ক্রিকেটের শিরোনাম হন। বিসিবির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও ছেড়ে কথা বলেননি। এই দুই ক্রিকেট কর্তার কথার যুদ্ধ ক্রিকেট আলোচনায় নতুন খোরাক যোগায়।
অ্যাডহক কমিটি সম্প্রতি বিসিবিতে নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করেছে। এই নির্বাচনে জেতার জন্য বিসিবির অ্যাডহক কমিটি নিজেদের পছন্দমাফিক বিসিবির গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনী এনেছে। যদিও অ্যাডহক কমিটির দাবি গঠনতন্ত্রের এই সংশোধনী করেছে দেশের ক্রীড়ার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। তবে এনএসসির কর্তাদের সামনে রেখে আসলে এই সংশোধনী নিজেদের স্বার্থেই বিসিবির অ্যাডহক কমিটি পাস করিয়ে এনেছে।
সম্প্রতি বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে আদালত নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের স্বার্থেই আদালত এই নির্দেশনা প্রদান করেছে।
বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নির্বাচন করার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন। ধারনা করা হচ্ছিল নাজমুলের প্যানেল বিনা বাধায় বিসিবির নির্বাচনে জিতে যাবে। তবে গতকাল সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ায় সেই হিসেব পাল্টে গেল।
অবশ্য নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও সাবের হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করেছেন নির্বাচনের আগে উভয়পক্ষের জন্য যেরকম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা প্রয়োজন-সেটা এখন নেই। এই বিষয়টি নিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন-এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ প্রক্রিয়ায় হয় তিনি সেটাই দেখতে চান।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই আশ্বাস পাওয়ার পর সাবের হোসেন চৌধুরী আশা করছেন নির্বাচনের আগে বিসিবি উভয়পক্ষের জন্য লড়াইয়ের মাঠ সমান করে দেবে।
সাবের জানান-এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্লাব এবং জেলা-বিভাগীয় ক্রিকেট সংগঠকদের মধ্যে একটা স্পষ্ঠ বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। তিনি এই বিভাজন দুর করে সবাইকে নিয়ে বিসিবিতে একটা ঐক্যের প্যানেল তৈরি করে নির্বাচনে নামছেন।
নাজমুলকে স্পষ্ঠই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সাবের।
Discussion about this post