দেখতে দেখতে টেস্ট ক্রিকেটে ২০ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। এরমধ্যে খুব একটা উন্নতি হয়নি সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। সবশেষ দুই বছর শুধু হতাশাই হয়েছে সঙ্গী। ঘরের মাঠে আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দল হেরেছে টেস্ট। দেশের বাইরে ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পন। শ্রীলঙ্কায় সবশেষ সিরিজে প্রথমটি ড্রয়ের পর অন্যটিতে হেরেছে টাইগাররা।
এ অবস্থায় টেস্টে ভাল করতে পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দুই বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাকদের নির্বাচক প্যানেল। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন মঙ্গলবার তেমনটাই শোনালেন। সঙ্গে জিম্বাবুয়েতে টাইগারদের সফর, তামিম ইকবালের ইনজুরি নিয়েও বললেন কথা।
চলুন দেখে নেই কী বললেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
প্রসঙ্গ তামিমের ইনজুরি
এটা অবশ্যই একটা চিন্তার বিষয়। কারণ একটা বেস্ট প্লেয়ার টিমের না থাকলে…তারপরও আমি মনে করি হয়তো আজকে বোঝা যাবে। আজকে প্র্যাক্টিস সেশনের পর বোঝা যাবে কোন অবস্থায় আছে। আগাম কিছু বলা যাবে না। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় রেস্ট নিলে রিকোভারি হয়ে যেতে পারে। এখন ফিজিওরা আমাদের যেভাবে গাইড দেয়, সেভাবেই কিন্তু…। আশা করি ও তাড়াতাড়ি রিকোভারি করতে পারবে।
টেস্টে ভাল করা প্রসঙ্গে…
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটা তো খুব তাড়াতাড়ি টেস্ট ম্যাচ খেলছি। এরপর একটা গ্যাপ আছে। টেস্ট ম্যাচে যখনই সুযোগ পাই, সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। কারণ এটাই তো আসল খেলা। এই ফরম্যাটে আমাদের ভালো করতেই হবে। আশা করব আমাদের প্লেয়াররা এটা বুঝতে হবে। যদি বেস্ট পারফরম্যান্সটা যদি জিম্বাবুয়েতে দিয়ে আসতে পারি, পরেরগুলো ভালো করব।
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে…
যেকোনো হোম টিম নিজেদের মাঠে সবসময় কঠিন। সে হিসেবে আমি মনে করি জিম্বাবুয়ে তাদের মাঠে অবশ্যই স্ট্রং। আমাদেরও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে, সেটা যদি কাজে লাগাতে পারি। লাস্ট সিরিজ যেটা খেলেছি অনেকদিন আগে, ১-১ ছিল। এখন আমাদের দল অনেকগুলো টেস্ট খেলে এক্সপেরিয়েন্স নিয়েছে। সেই হিসেবে মনে করি প্লেয়াররা যদি সেরাটা দিতে পারে, তাহলে সেরা খেলাটাই কিন্তু হবে।
সাদা পোশাকের ক্রিকেট নিয়ে ভাবনা…
আমরা লঙ্গার ভার্শন নিয়ে একটা চিন্তা-ভাবনা, প্ল্যান করেছি। এই সেপ্টেম্বর থেকে… কোভিডটা যদি একটু নরমাল হয় তাহলে আগামী সিজন থেকে ভালো একটা শুরু করতে চাই। লঙ্গার ভার্শনটাকে এমনভাবে সাজাতে চাই যেটা আগামী দুই বছরের মধ্যে টেস্টটা ভালো অবস্থানে যাবে। আমাদের সিলেক্টর প্যানেল থেকে এতদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রপোজাল দিয়েছি। ওভাবে আগাতে পারলে, রেড বল ক্রিকেটটাকে ভালো অবস্থানে নিতে পারব।
এটা আমরা দিচ্ছি, কয়েকদিনের মধ্যে বোর্ডে জমা দেবো। সবকিছু মিলিয়ে ডিভিশনের টিমগুলোকে যাতে বাধ্যতামূলক আন্ডার টুয়েন্টিতে হোমে যদি আমি একটা ম্যাচ খেলি…অনেকগুলো প্লেয়ার এই লঙ্গার ভার্শনে যুক্ত হবে। এটা হলে রেড বল ক্রিকেটের বেসটা অনেক শক্ত হবে।
টেস্টে ভাল হতে পরিকল্পনা..
আপনি যেকোনো দেশের লঙ্গার ভার্শনে ক্রিকেটের ফরম্যাটে যদি স্ট্রং না হয়। তাহলে তো আপনি চ্যাম্পিয়নশিপে যেতে পারবেন না। আপনি নম্বর অফ প্লেয়ার বেশি থাকতে হবে…। সবদিক দিয়ে স্টাবলিশ হতে হবে। এই জায়গায় আমাদের আরেকটু নজর দিতে হবে। এটাকে ভালো জায়গায় স্টাবলিশ করতে পারলে বাকি ফরম্যাটগুলোও ভালো হবে।
জিম্বাবুয়ে সফর কতোটা চ্যালেঞ্জ..
জিম্বাবুয়ে সিরিজ সবসময় চ্যালেঞ্জিং। কারণ হারারেতে ওয়েদার কন্ডিশন, উইকেটের অবস্থা…। আমাদের প্লেয়াররটা এখানে অপজিট কন্ডিশনে খেলে গেছে, ওখানে কিন্তু যথেষ্ট ঠাণ্ডা। আশা করি প্লেয়াররা যদি তাদের সেরাটা দিতে পারে, ভালো হবে।
Discussion about this post