শুধু পরিকল্পনাই হয়েছে। টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির পরও সাদা পোশাকের ক্রিকেট নিয়ে নেওয়া হয়নি বড় কোন পরিকল্পনা। ঘরের মাঠেও যে এই ফরম্যাটটাকে নিয়ে ভাবনা ছিল সুদূর প্রসারী সেটিও নয়। তারই প্রভাব থাকছে টেস্ট ক্রিকেটেও। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দল খেলছে ৫দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু সাফল্য সেটা তো সেই তিমিরেই আছে। এখনো দেশের বাইরে খেলতে যাওয়া মানেই অবধারিতভাবে হার, ইনিংস হার!
সদ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে দেখা গেছে তেমনটাই। কিছুতেই ধরা দেয়নি সাফল্য। দুই টেস্টের সিরিজের দুটিতেই দল হেরেছে! এরপরই বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলেছেন খোদ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই দেশে সাদা পোশাকের ক্রিকেট কতোটা চর্চা হয় সেটি তো যৌক্তিক প্রশ্ন বটেই।
সাদা পোশাকে বিবর্ণ সময় পার করছে বাংলাদেশ। আর সেই দিন ফিরবে তেমন ইঙ্গিতও নেই। এনিয়ে কাজও তেমন একটা কিছু চোখেও পড়ছে না। এ অবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাৎক্ষণিকভাবে প্রথম শ্রেণীর টুর্নামেন্ট দুটি শুরুর পরিকল্পনা করছে তারা। বিশ্বকাপের মধ্যেই এগিয়ে নিরতে চায় এই আয়োজন।
এমনিতে বাংলাদেশে হয় প্রথম শ্রেণির দুটি টুর্নামেন্ট। একটি এনসিএল (জাতীয় ক্রিকেট লিগ) ও অন্যটি বিসিএল (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ)। চলতি বছরের শেষে দুইটি টুর্নামেন্টেরই সূচি রেখেছে বিসিবি। আগামী অক্টোবর মাসে শুরু হবে ৮টি বিভাগীয় দলের লড়াই এনসিএল। ডিসেম্বরে হওয়ার কথা ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট বিসিএল।
সূচি জানাচ্ছে-প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের নতুন মৌসুমের এনসিএল শুরু হবে আগামী ১ অক্টোবর। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ চললেও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দিকে না তাকিয়ে বড় কোনো বিরতি ছাড়া ২২ নভেম্বর শেষ হবে এনসিএল।
তার এক সপ্তাহ পরই শুরু হবে বিসিএল। ডিসেম্বরের ১ তারিখ শুরু হয়ে এক মাসের এই টুর্নামেন্ট শেষ ৩১ ডিসেম্বর। শেষবারের মতো এবারো বিসিএল হবে সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে। প্রথম শ্রেণির লিগ আয়োজনের পরই বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণ হবে।
Discussion about this post