ফরচুন বরিশাল দ্বিতীয় ম্যাচেই পেলো জয়ের দেখা। মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সাকিব আল হাসানের দল হারাল রংপুর রাইডার্সকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রংপুরকে ৬ উইকেটে হারাল বরিশাল। বল হাতে ২১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ব্যাট হাতে ৪৩ রানের ইনিংসে জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
তবে ম্যাচটা আলোচনায় এসেছে ভিন্ন কারণে। বিপিএল এবার নানা কারণেই আলোচনায়। তেমন আরেক ঘটনায় উত্তাল হলো মিরপুর। তখন ইনিংস বিরতি শেষে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করতে প্রস্তুত রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ফিল্ডার আর ব্যাটারা। এমন সময়ে থেমে যায় খেলা। সীমানার বাইরে থেকে সাকিব আল হাসানকে দেখা গেল হাত উঁচিয়ে কিছু বলছেন। তারপরই উত্তেজিত অবস্থায় মাঠে ঢুকে মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন বরিশাল অধিনায়ক।
এ কারণে খেলা শুরু হতে দেরি হলো মিনিট পাঁচেক। রংপুরের ১৫৮ রানের জবাবে বরিশালের পক্ষে ইনিংস ওপেন করতে নামেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা ও এনামুল হক বিজয়। রংপুরের পক্ষে প্রথম ওভার করার প্রস্তুতি নেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান। এমন সময় স্ট্রাইকে চলে যান বাঁহাতি ওপেনার চতুরাঙ্গা।
চতুরাঙ্গাকে স্ট্রাইকে দেখে রকিবুলকে বদলে অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানকে বোলিংয়ে নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এটা দেখেই ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসেন সাকিব। ডাগ আউটের সামনে কথা বলেন চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে। মাঠে চতুরাঙ্গার বদলে স্ট্রাইক নিতে যান এনামুল। তারপরই শেখ মেহেদির বদলে ফের রাকিবুলকেই বোলিংয়ে দেয় রংপুর। এটি নিয়েই হয়তো ঝামেলা।
তারপর সাইড লাইন থেকে সরাসরি মাঠের ভেতরে ঢুকে যান বরিশালের অধিনায়ক সাকিব। দুই আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন। সাকিব মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতেই চতুরাঙ্গাই যান স্ট্রাইকে। বোলিংয়ে রাকিবুল। এরপরই আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সাকিবের মাঠে ঢোকা নিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন বরিশালের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ।
তিনি লিখেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন, তা দেখেই ঠিক হয় কোন ব্যাটসম্যানরা স্ট্রাইক নেবেন। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদিকে বল করতে আসতে দেখে চতুরাঙ্গা ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।’
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিকান্দার রাজার বলে এনামুল হকের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেয় রংপুর রাইডার্স। রিপ্লে দেখে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দিয়ে ‘আউট’ দিয়ে দেন টিভি আম্পায়ার। এটা মেনে নিতে না পেরে রেগে যান এনামুল। মাঠ ছাড়ার সময় সীমানায় দড়ির বিজ্ঞাপনী টপলারে ব্যাট দিয়ে আঘাতও করেন।
এবারের বিপিএলের এডিআরএস-এ বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নেই। এ কারণে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলে টিভি আম্পায়ারকে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, সেই বল লেগ স্টাম্পে স্পর্শ করতে পারত বাইরেও যেতে পারত।
Discussion about this post