ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন রেখেছিলেন তিনি। একবার দুবার নয় তিনবার! এ কারণেই এক বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসান। তারপরও তাকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে তিনি না থেকেও যেন আছেন! শনিবারও উঠে আসে তার প্রসঙ্গ। যেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গলা ছেড়েই প্রশংসা করলেন সাকিবের। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এই ক্রিকেটারের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রেঞ্জার্সকে।
ম্যাচ শেষে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন মাহমুদউল্লাহ। তার সেই আলাপচারিতা তুলে ধরা হলো এখানে-
ইনজুরির আপডেট কি?
আলহামদুলিল্লাহ ইনজুরি ভালোভাবে রিকভারি হয়েছে। আমি চাচ্ছিলাম শতভাগ ফিট হয়ে মাঠে নামতে পারি। সবাই খুব ভালো পারফর্ম করেছে, আর দল হিসেবে আমরা ভালো পারফর্ম করেছি বিধায় ভালো লাগছে।
মাত্র ১৫ রানে ফিরলেন। নিজের আউট নিয়ে কী বলবেন…
ব্যক্তিগতভাবে আমি এই বিষয় নিয়ে হতাশ। আমি চাচ্ছিলাম ইম্রুলকে নিয়ে শেষ করে আসি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যে বলে আউট হয়েছি আমার মনে হয় রান করার ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু আউট হয়ে গেছি।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কি বলবেন?
প্রথমটা হচ্ছে আমরা তিন ম্যাচে দুইটা জয় পেয়েছি। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দিবে যখন আমরা চট্টগ্রাম যাব। চট্টগ্রামের উইকেট সবসময়ই ভালো থাকে এবং আমরা চেষ্টা করব জয়ের ধারা যেন ধরে রাখা যায়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমন, আপনি যদি মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলেন সেটা ফিরে পেতে খুব কঠিন হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করব যেন জয়ের ধারায় থাকি এবং একই সঙ্গে ভালো ক্রিকেট খেলাটা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি ভুলগুলা বার বার করতে থাকেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা খুবই ক্ষতিকর হয় দলের জন্য। আমরা দল হিসেবে ভালো খেলেছি, বিশেষ করে বোলাররা ডেথ ওভারে দারুণ করেছে। মধ্যভাগে ওর ভালো খেলছিল। আর ব্যাটসম্যানরা দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন। যেটা আভিশকা, ওয়াল্টন করেছে। টি-টোয়েন্টিতে উড়ন্ত সূচনা হলে দলের জন্য ভালো। এরপর আপনি শুধু প্রান্ত বদল করে ব্যাটিং করলেই হয়ে যায়। তখন রান নেয়ার ক্ষেত্রে আপনি সহজভাবে চিন্তাভাবনা করতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত মাত্র ৩টা ম্যাচ হয়েছে। আমাদের দলে ইমরুল খুব ভালো ব্যাটিং করছে, মুস্তাফিজকে যখন খেলছিলাম সে ভালো বোলিং করেছে। ওর সঙ্গে কথাও হয়েছে, সে কঠোর পরিশ্রম করছে। তামিম রান পেয়েছে, মুশফিক রান পাচ্ছে। নাঈম ভালো ব্যাটিং করেছে, দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে। আমরা মনে হয় আমরা সঠিক পথে আছি।
উইকেট কেমন মনে হলো মিরপুরের?
আমি তো একটা ম্যাচ খেললাম। আজকের উইকেটটা অসাধারণ উইকেট ছিল। ব্যাটিং করার জন্য দারুণ ছিল। স্পিনারদের জন্য আহামরি খুব একটা সুবিধা ছিল না কিন্তু আপনি যদি হার্ড লেংথে হিট করতে পারেন আপনার জন্য বাড়তি বাউন্স বা সিম মুভমেন্ট পেতে পারেন। উইকেটের কথা বললে এটা খুবই ভালো উইকেট।
টি-টোয়েন্টি জাতীয় দলের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে…
ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট শিওর না। যদি আমি দায়িত্ব পাই হান্ড্রেড পার্সেন্ট দিয়ে চেষ্টা করব। লাস্ট সিরিজে ছিলাম। নেক্সট সিরিজে যদি দায়িত্ব পাই তাহলে চেষ্টা করবো যে যে জায়গায় আমাদের ঘাটতি আছে সেগুলো বের করে প্রপার ক্রিকেট খেলতে পারি। শেষ সিরিজে ভারতের বিপক্ষে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যদিও সিরিজটি আমরা জিততে পারিনি টি-টোয়েন্টিতে।
নিজের বোলিং নিয়ে…
আমি সবসময় নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার ভাবি। ব্যাটিং প্রেফারেন্স ফার্স্ট। বোলিংটা আমার এডভান্টেজ। জাতীয় দলে বেশি অপশন আছে। আফিফ আছে মোসাদ্দেক আছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁরা খুবই হেন্ডি বোলার। আমি ভালো সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবো।
আমি সবসময় দেখতে চাই। এমন না যে আমরা দেখতে চাই না। শেষ ৭ মাস আমি বোলিং করি না। তখন মোসাদ্দেক ভালো করেছে। আফিফ খুব ভালো স্পিনার। তাড়া যেহেতু ছন্দে আছে ওরা ভালো অপশন। আমি ওরকম ফিল করলে চেষ্টা করব ঐ ধরনের চ্যালেঞ্জ ম্যাচে নিতে। নিজেকে প্রমাণ করতে।
সাকিব প্রসঙ্গে…
সাকিবের সঙ্গে যদি নিজেকে পরিমাপ করতে যাই তাহলে সেটা করাটাও ঠিক হবে না। একজন সাকিব এক জেনারেশনে পাওয়া খুব কঠিন। সাকিন একজনই। আমরা সবাই জানি, ও কতটুকু ক্যাপাবল অর ক্রিকেটিং স্কিল বা ব্রেইন স্কিল দিয়ে। আমি চেষ্টা করব। ওর মতো বোলিংয়ে যদি অবদান রাখতে পারি, তাহলে খুশি হবো।
Discussion about this post