একদিন আগেই তিনি জানিয়েছেন আপাতত আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট খেলবেন না! কমপক্ষে ৬ মাসের একটা বিরতি। এই ঘোষণার পর দিনই ঘরোয়া ক্রিকেটে ঝড় তুললেন তামিম ইকবাল। বুঝিয়ে দিলেন তার ম্যাজিক ফুরিয়ে যায়নি। ১৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৪ বলে ১১১ রানের ইনিংসটি ছিল দেখার মতো। শুক্রবার বিপিএলে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে এই ইনিংসটি খেলেন তামিম।
এমনিতে বিপিএলে তামিমের আছে একাধিক সেঞ্চুরি। চার শতরান করে এই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এগিয়ে তিনি। তবে সাম্প্রতিক কাল তার ব্যাটিং স্টাইল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিশেষ করে ২০ ওভারের ক্রিকেটে তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিলেন অনেকেই।
সেই সমালোচনা পেছনে ফেলে এবার টি-টুয়েন্টিতেও উড়লেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। তার শরীরি ভাষাটাও ছিল দেখার মতো। ম্যাচ শেষে তামিম বলছিলেন, ‘দেখুন, লক্ষ্য ২২০ রান হলেও হয়ত আমরা জিততে পারতাম। আমি জানতাম, যদি আমরা ভালো শুরু করি, আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে। সৌভাগ্যবশত আমি ও শাহজাদ অসাধারণ একটি শুরু পাই। আর এরপর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
ঠিক তাই। তার পথ ধরে এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তামিম। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি তামিমের। শুক্রবার ১১১ রানের ইনিংসে ১৭টি চার হাঁকান তামিম, বিপিএলে এক ইনিংসে যা রেকর্ড।
আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড যৌথভাবে ছিল মোহাম্মদ আশরাফুল ও লেন্ডল সিমন্সের। ২০১৩ আসরে ১০৩ রানের করা ইনিংসে ছিল ১৪ চার। এই ইনিংসের পর বিপিএলে তামিমের ব্যাটিং গড় ৩৭.৪৯। ১০ ইনিংস খেলা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ গড়।
তামিমের ইনিংসে ১৭ চার ও ৪ ছক্কা, বাউন্ডারি থেকে ৯২ রান। বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এটিই।
Discussion about this post