সাকিব আল হাসানের স্টাম্প কাণ্ডে রীতিমতো উত্তাল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটল। যেখানে ঘটনার সুত্রপাত সাকিবের বল করার সময়। মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর আবেদন করার পর দুই-তিন সেকেন্ড পার হতেই মাথা গরম করেন সাকিব। আম্পায়ারের সামনে লাথি দিয়ে এলোমেলো করে দেন স্টাম্প। তারপর তর্কে জড়ান আম্পায়ারের সঙ্গে। এবার স্টাম্প তুলে আছড়ে ফেলেন এই অলরাউন্ডার। ঠিক এমনই দৃশ্যপটে সাকিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির।
সাকিবকে নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, সেখানে তাকে ‘ভিলেন’ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করেন তার স্ত্রী। যদিও এক স্ট্যাটাসে ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। তবে সাকিব পত্নীমনে করছেন, মিডিয়ায় প্রধান ইস্যুকে চাপা দিয়ে বরং সাকিবের রাগের বিষয়টিতে দেখানো হচ্ছে।
ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে সাকিব উম্মে আল হাসান লিখেছেন, ‘আমি এই ঘটনা মিডিয়ার মতো করেই উপভোগ করছি, অবশেষে টেলিভিশনে কিছু খবরও দেখা যাচ্ছে! আজকের ঘটনায় যারা পুরো চিত্র পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছেন, সেরকম কিছু মানুষের সমর্থন পেয়ে ভালো লাগছে যে, সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অন্তত একজনের সাহস আছে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এখানে আসল ইস্যুটিকে চাপা দিয়ে মিডিয়া শুধুমাত্র তার রাগ প্রকাশের বিষয়টিকে তুলে ধরছে। এখানে আসল বিষয়টি হলো আম্পায়ারদের নজরকাড়া সিদ্ধান্ত! হেডলাইনগুলো দুঃখজনক। আমার মনে হয়, এটা তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা একটা ষড়যন্ত্র, যেখানে সব ঘটনাতেই তাকে ভিলেন হিসাবে তুলে ধরা হয়। আপনি যদি ক্রিকেট ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সতর্ক হোন!’
তার আগে সাকিব আল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, যারাই আজকের ম্যাচে আমার আচরণ দেখে কষ্ট পেয়েছেন বিশেষ করে ঘরে বসে যারা খেলা দেখেছেন, তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার মতো অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমনটা মোটেও কাম্য নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে প্রতিকুল পরিবেশে এমনটা হতেই পারে। এমন ভুলের জন্য সকল দল, কর্তৃপক্ষ, টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও অর্গানাইজিং কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি ভবিষ্যতে এমন কোন কাজে আমি আর জড়াবোনা। সকলের জন্য ভালোবাসা।’
Discussion about this post