ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনা পরবর্তী যুগে আগামী অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই মাঠের ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। সেখানে টাইগাররা খেলবে তিনটি টেস্ট। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঐ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিরবেন সাকিব আল হাসান। দেশের একটি শীর্ষ দৈনিককে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে এ বছরের ২৮ অক্টোবর। মূলত এরপরই এ অলরাউন্ডার ফিরতে পারবেন জাতীয় দলে। আর তাই এ তারকাকে লঙ্কা সফরের দ্বিতীয় টেস্টেই পাওয়ার আশা করছেন নাজমুল হাসান, ‘সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ২৮ অক্টোবর শেষ। এরপর সে খেলতে পারবে। সমস্যা একটাই-২৯ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত সাকিব দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবে না, আমরা সেখানে গিয়ে এইচপির সঙ্গে যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব, সেগুলোতেও খেলতে পারবে না। তবে সে এককভাবে অনুশীলন করতে পারবে। আকসুর কাছে বিসিবি এবং সাকিবও এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। দুই পক্ষকেই আকসু একই কথা বলেছে। দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই সে খেলতে পারবে। এ মাসের শেষের দিকে সাকিব দেশে আসবে। অনুশীলনের জন্য সে বিকেএসপিকে বেছে নিয়েছে। দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে না পারলেও আমাদের কোনো কোচ আলাদাভাবে ওর সঙ্গে কাজ করতে পারবে। শ্রীলঙ্কায় সাকিব দলের সঙ্গে যেতে পারবে না। তবে আমরা চেষ্টা করব ওকে দ্বিতীয় টেস্টের ১০-১২ দিন আগে নিয়ে যেতে। ২৯ তারিখের আগ পর্যন্ত ওখানে আলাদা থেকেই অনুশীলন করল, কিন্তু আমাদের কোচরা তো দেখতে পাবে ওর কী অবস্থা। তারা প্রয়োজনে তাকে এককভাবে অনুশীলন করাতে পারবে। এগুলো ঠিকঠাকভাবে হলে অবশ্যই সাকিব দ্বিতীয় টেস্টে খেলবে।’
শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে বাংলাদেশ দল আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দলকে শ্রীলঙ্কা পাঠানোর সিদ্ধান্তের পেছনে কি যুক্তি কাজ করেছে?
এ ব্যাপারে বিসিবি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় যেতে রাজি হওয়ার পেছনে একটিই কারণ। ওদের ওখানে নাকি গত কয়েক মাসে একজনও করোনা রোগী ধরা পড়েনি। ওরা বলছে শ্রীলঙ্কায় করোনাভাইরাস নেই। তবে ১৫ দিন আগ পর্যন্ত আমরা জানতাম শ্রীলঙ্কার মতো নিউজিল্যান্ডও ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ। একটা সময় নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়ারও চিন্তা হয়েছিল। এখন তো নিউজিল্যান্ডে আবার লকডাউন! অস্ট্রেলিয়ার অনেক শহরের অবস্থাও আবার খারাপ হয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে এখন বলা হচ্ছে নিরাপদ। সামনে কী হবে তা তো জানি না। ওখানে নাকি একদমই কোভিড ধরা পড়ছে না, এটা কীভাবে হয়! আমি শ্রীলঙ্কার করোনা পরিস্থিতির গত তিন মাসের বিস্তারিত পরিসংখ্যান জানতে চেয়েছি। এ ছাড়া আমাদের দল কোথায় কীভাবে থাকবে, দলের সঙ্গে কারা থাকবে, তারা দলের সঙ্গে যাতায়াত করবে কি না…এসবও জানাতে বলেছি। আমাদের দিক থেকে কিছু শর্ত আছে…সেগুলো তারা দিতে পারবে কি না, এগুলোও জানা হচ্ছে। ওরা দুটি শহরে খেলার কথা বলেছিল। আমরা বলে দিয়েছি এক শহরেই তিনটি টেস্ট খেলতে। এটাই চূড়ান্ত বলতে পারেন।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিশ্চিত। দল ঘোষণাও হয়ে যাবে আগামী মাসে। তারপরও খেলোয়াড়েরা এখনও করছে ব্যক্তিগত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কবে দলীয়ভাবে অনুশীলন শুরু করবেন তারা। এ ব্যাপারে নাজমুল বলেন, ‘আমরা চাইলে খেলোয়াড়দের আরও আগে মাঠে নামাতে পারতাম। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, এটা উচিত হবে না। সবার ঘরে থাকা উচিত। আমাদের ফিজিও, ট্রেনার ওদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছে। বিশেষ অ্যাপ দিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক বিসিবির অধীনে থাকা সব ক্রিকেটারের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রেখেছি। সেপ্টেম্বরের ২০-২১ তারিখে হয়তো দলীয় অনুশীলন শুরু হবে। এর সপ্তাহখানেক পর দল শ্রীলঙ্কা যেতে পারে, আবার আরও ৮-১০ দিন পরও যেতে পারে। প্রতিদিনই কথা হচ্ছে এসব নিয়ে। আমরা হয়তো চার্টার্ড প্লেনেই যাব শ্রীলঙ্কায়। কারণ, বিমানবন্দর এবং বিমান দুটোই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ‘
Discussion about this post