কলম্বোতে সকালে বাংলাদেশের আতঙ্ক ছিলেন কুশল মেন্ডিস। আগের দিন ব্যাট হাতে আস্থার ছবি হয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা আজও শুরুটা করেছিল আত্মবিশ্বাস নিয়েই। তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি স্পিনারদের ধৈর্য আর নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথ গুঁড়িয়ে দেয় সেই স্বপ্ন। বিশেষ করে তাইজুল ইসলাম, যিনি দিনের একেবারে শুরু থেকেই আঁটসাঁট বোলিং করে চাপে ফেলেন লঙ্কান ব্যাটারদের।
কুশল মেন্ডিস আজ খেলেছেন এক অনবদ্য ইনিংস—৮৭ বলে ৮৪ রান। চোখে-মুখে ছিল সেঞ্চুরির দৃঢ়তা। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসেই যেন ডেকে আনলেন বিপদ। তাইজুলের একটি শর্ট বল কাভারের দিকে ঠেলে দ্রুত দুই রান নিতে চাইলেন। প্রথম রানটি নিয়ে ফিরতে গিয়ে ইবাদতের করা নিখুঁত থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন লিটন দাস। রানআউট হয়ে থেমে যান কুশল, পুরো মাঠ তখন স্তব্ধ।
এই আঘাত সামলে উঠতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। বাকি উইকেটগুলো ধসে পড়ে একে একে। ইনিংসের ১১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শেষ ব্যাটার আসিথা ফার্নান্দো, তুলে দেন তাইজুলের পঞ্চম উইকেটও।
তাইজুল ইসলাম আজ প্রমাণ করলেন, বিদেশের মাটিতেও তিনিই বাংলাদেশের প্রধান স্পিন অস্ত্র। ৪২.৫ ওভার বোলিং করে ১৩১ রানে তুলে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। বোলিং স্পেলে ছিল ধৈর্য, কৌশল আর নিখুঁত পরিকল্পনার ছাপ।
শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ৪৫৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রান করা বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১১ রানের বিশাল লিড নেয় তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৪৭
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১১৬.৫ ওভারে ৪৫৮ (নিসাঙ্কা ১৫৮, জয়াসুরিয়া ১০, ধানাঞ্জায়া ৭, কামিন্দু ৩৩, কুসাল ৮৪, দিনুশা ১১, রাত্নায়াকে ১০, ভিশ্ব ২*, আসিথা ০; ইবাদত ১৪-০-৫৫-০, তাইজুল ৪২.৫-৪-১৩১-৫, নাহিদ ২০-১-৯৪-১, মিরাজ ২০-১-৭৫-০, নাঈম ১৮-৪-৮৭-৩, মুমিনুল ২-০-৮-০)
Discussion about this post