হেসে-খেলে জয়? না তার চেয়েও বেশি! এশিয়া কাপের ফাইনাল দেখা মিলল বিস্ময়কর দৃশ্য!
রোববার কলম্বোতে রীতিমতো শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিল ভারত। ৫০ ওভারের ম্যাচে হিসাব করলে দুই দলের জন্য থাকে ১০০ ওভার।
কিন্তু সেখানে মাত্র ২১.৩ ওভার খেলা হয়েছে। ১ ঘণ্টা ৫৯ মিনিটে খেলা সাঙ্গ। পেসার মোহাম্মদ সিরাজের আগুণঝরা বোলিংয়ে সবশেষ শ্রীলঙ্কার। এশিয়া কাপের ফাইনালে মাত্র ১৫.২ ওভারে ৫১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬.১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে রোহিত শর্মার ভারত। তখনো হাতে ছিল ২৬৩ বল!
দিন-রাতের ম্যাচে এশিয়া কাপের ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৫.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলে মাত্র ৫০ রানে। লঙ্কানদের ইনিংসে ধস নামান ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি ৭ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ২১ রান দিয়ে নেন ৬টি উইকেট।
ফাইনালে মাঠে নামার আগে ২৮ ওয়ানডেতে ২৭ ইনিংসে সিরাজের উইকেট ছিল ৪৭টি। ফাইনালে ৬ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
এ নিয়ে সর্বোচ্চ অষ্টমবারের মতো শিরোপা জিতল ভারত। মাত্র ৫১ রান রান তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাটে ৬.১ ওভারে বিনা উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত। গিল ১৯ বলে ৬ চারে ২৭ রানে ও রোহিত ১৮ বলে ৩ চারে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ফাইনালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মোট রান ছিল ১০১। যা দুটি দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
এমন জয়ের নায়ক মোহাম্মদ সিরাজ একাই নেন ৬টি উইকেট। ৭ ওভারে ১ মেডেনসহ তিনি রান দিয়েছেন মাত্র ২১টি। ৩টি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১টি উইকেট নেন আরেক পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।
ম্যাচে লঙ্কান ব্যাটাররা টিকতে পারল মাত্র ৪০ মিনিট। ৯২টি লিগাল ডেলিভারিতে ১০ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করতে পারে তারা। ৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। এদিন অনাকাংখিত এক রেকর্ড গড়ে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দল হিসেবে সবচেয়ে কম ওভারে অলআউট হয় তারা। সর্বনিম্ন ১৩.৫ ওভারে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে, ২০১৭ সালে। এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ব স্কোরও। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১২ সালে তারা অলআউট হয় ৪৩ রানে।
Discussion about this post