আরও একবার সেই হতাশাই সঙ্গী হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। শেষ বিকেলে কিছুটা রোমাঞ্চ ছড়াল বটে। কিন্তু ম্যাচ বাঁচানো গেলো না! শেষ জুটি যখন লড়ছিল তখন, তাইজুল ইসলামকে এলবিডব্লিউ করে পাকিস্তানকে জয় এনে দিলেন সাজিদ খান। ৩৪ বলে ১ রানের এই জুটিটি ভেঙে যায় শেষ দিনের খেলার ৫.২ ওভার বাকি থাকতেই। ৫ রান করা তাইজুল এলবিডাব্লিউ হন, রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না।
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ দল হারল ইনিংস ও ৮ রানে। ১ম ইনিংসে ৮৭ রানে অলআউটের পর ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ তুলল ২০৫ রান।
বুধবার টেস্টের শেষ দিনে নিজেদের মাঠ মিরপুরে ১৩ উইকেট হাতে নিয়েও সারাদিন পার করতে পারল না বাংলাদেশ দল। তার পথ ধরেই ইনিংস ও ৮ রানে হার মানে তারা। টি-টুয়েন্টির পর হোয়াইটওয়াশ টেস্ট সিরিজেও।
এদিন ম্যাচের সময় বাকি ছিল আধ ঘণ্টার মতো। আলোকস্বল্পতায় ছিলই। ৫.২ ওভার আটকে থাকলেই চলত। হয়তো এই ৫ ওভারের আগেই শেষ হতে পারত দিনের খেলা। কিন্তু সময়টাও ব্যয় করা হয়নি বাংলাদেশের। যা একটু লড়লেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। এরমধ্যে সাকিবের ব্যাটে ৬৩। মুশফিক আউট হলেন ৪৮ রানে। লিটন থামেন ৪৫ রানে।
এর আগে ম্যাচের প্রথম চারদিনে খেলা হয়েছে সব মিলিয়ে দেড় দিনেরও কম। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচও বাঁচানো হলো না! সিরিজ থেকে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট পেয়েছেপাকিস্তান। বাংলাদেশের প্রথম পয়েন্ট পেতে গিয়েও পেলো না।
এই ধাক্কা সামলে উঠার আগেই দল বুধবার রাতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড সফরে। যেখানে তারা খেলবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথমটি শুরু ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি। পরেরটি ৯ জানুয়ারি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯৮.৩ ওভারে ৩০০/৪ (ডি.) (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৫৬, বাবর ৭৬, ফাওয়াদ ৫০*, রিজওয়ান ৫৩*; ইবাদত ২৩-৩-৮৮-১, খালেদ ১৭.৩-৫-৪৯-১, সাকিব ১৯-৭-৫২-০, তাইজুল ২৫-৬-৭৩-২, মিরাজ ১৪-২-৩৭-০)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩২ ওভারে ৮৭/১০ (সাদমান ৩, মাহমুদুল ০, শান্ত ৩০, মুমিনুল ১, মুশফিক ৫, লিটন ৬, সাকিব ৩৪, মিরাজ ০, তাইজুল ০, খালেদ ০, ইবাদত ০* ; আফ্রিদি ৪-৩-৩-১, নুমান ১২-২-৩৩-০, সাজিদ ১৫-৪-৪২-৮, বাবর ১-০-১-০)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস (ফলো-অন): ৮৪.৪ ওভারে ওভারে ২০৫/১০ (সাদমান ২, মাহমুদুল ৬, শান্ত ৬, মুমিনুল ৭, মুশফিক ৪৮, লিটন ৪৫, সাকিব ৬৩, মিরাজ ১৪, তাইজুল ৫, খালেদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ১৫-৫-৩১-২, হাসান ১১-৩-৩৭-২, নুমান ২০-৫-৪১-০, ফাহিম ৪-৪-০-০, সাজিদ ৩২.৪-৮-৮৬-৪, বাবর ২-১-১-১)।
ফল: পাকিস্তান ইনিংস ও ৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাজিদ খান (১২ উইকেট)
সিরিজ : ২ টেস্টের সিরিজ পাকিস্তান ২-০ তে জয়ী
সিরিজ সেরা: আবিদ আলি (২৬৩ রান)
Discussion about this post