কম পুঁজি নিয়েও লড়ল বাংলাদেশ। কিন্তু জয় তো ধরা দিল না। সিরিজটাও একা পাওয়া হলো না!
অথচ ৪৯ রানেই ৫ উইকেট ছিল না নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু এরপরই জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে সর্বনাশ। তাদের দাপটে তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হারাল নিউজিল্যান্ড। এর পথ ধরে প্রথম ম্যাচ জিতেও সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশের।
রোববার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১৪.৪ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৯৫ রান তুলতেই শুরু বৃষ্টি। খেলা আর মাঠ না গড়ানোয় বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
১-১ ব্যবধানের সমতায় শেষ টি-টুয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত বৃষ্টিতে।
রোববার বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজন দুই অঙ্ক ছুঁলেও কেউ পারেননি ২০ রানও করতে। ধুঁকতে ধুঁকতে ১১০ রানেই শেষ ইনিংস। জবাবে নেমে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ৫০ করার আগে। তবে জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারের জুটি তাদেরকে উদ্ধার করে বিপর্যয় থেকে। ১৪.৪ ওভারে রান ৫ উইকেটে ৯৫, বৃষ্টিতে তখন বন্ধ হয় খেলা।
২০ বলে ২৮ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নিশাম। স্যান্টনার ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংসের আগে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১১০/১০ (সৌম্য ৪, রনি ১০, শান্ত ১৭, হৃদয় ১৬, আফিফ ১৪, শামীম ৯, মেহেদি ৪, রিশাদ ১০, শরিফুল ৪, তানভির ৮, মুস্তাফিজ ৩*; সাউদি ৪-০-২৫-২ , মিল্ন ৩.২-০-২৩-২, সিয়ার্স ৪-০-২৮-২, স্যান্টনার ৪-০-১৬-৪, সোধি ৪-০-১৬-০)।
নিউজিল্যান্ড: ১৪.৪ ওভারে ৯৫/৫ (অ্যালেন ৩৮, সাইফার্ট ১, মিচেল ১, ফিলিপস ১, চ্যাপম্যান ১, নিশাম ২৮*, স্যান্টনার ১৮*; তানভির ১-০-১২-০, মেহেদি ৪-০-১৮-২, শরিফুল ৩.৪-০-১৭-২, মুস্তাফিজ ৩-০-১৩-০, রিশাদ ২-০-১৯-০, শান্ত ১-০-১৪-০)
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে নিউ জিল্যান্ড ১৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ ড্র।
ম্যাচসেরা: মিচেল স্যান্টনার।
সিরিজসেরা: শরিফুল ইসলাম।
Discussion about this post